চণ্ডি পাঠের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের ১শ’ ৯৩টি মন্ডপে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বিদের সর্ববৃৎ দূর্গাউৎসব। মণ্ডপে মণ্ডপে শোভিত হচ্ছে দেবী দুর্গা প্রতিমা। পাশেই রয়েছে দেবীর স্বামী হিসেবে শিব এবং সন্তান হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, বাহণ সিংহ ও সাপ।
দেবীর পাদদেশে শোভিত হচ্ছে অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতীক মহাপরাক্রমশালী মহিষাসুর। যাকে বধ করার জন্যই দেবী দুর্গার সৃষ্টি।
সনাতন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, ‘অশুর শক্তি বিনাশকারী দেবী হলেন দুর্গা। তাঁর অর্চনার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে। যেমনি দেবরাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা।’
শ্রী শ্রী চণ্ডি পাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত আর এই চন্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশান্তি। এ উৎসবকে ঘিরে জেলার ৮টি উপজেলায় চলছে আনন্দ-উদ্দীপনা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা নিয়ে ও মহিষাসুর বধের যে কাহিনী তাই মহালয়ায় ফুটে উঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর থেকে দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি বিহিত পুজার মধ্য দিয়ে এই ধর্মীয় উৎসবের শুভ সূচণা হয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০ আশ্বিণ যষ্ঠী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পুরোপুরিভাবে আরম্ভ হয়েছে এবং ১১ অক্টোবর ২৪ আশ্বিণ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এ বছর জেলার ৮টি উপজেলায় সকল মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি ইতি মধ্যে শেষ হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এ শারদীয় উৎসব ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রায় যেনো কেউ নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে মাতলামি করতে না পারে সেদিকে পুলিশ প্রশাসন থেকে পূর্বেই আইন অমান্য না করার জন্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।