শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুরে হুমকির মুখে হাইমচরের নদীরতীর রক্ষাবাঁধ

হাইমচরের চরভৈরবী ইউনিয়নে আমতলি এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মসজিদ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ নদীর পাড় সংলগ্ন বসত ভিটা এবং সরকারের ৩শ’ কোটি টাকার স্থায়ী প্রকল্প নদীরতীর রক্ষাবাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে।

মেঘনার ভাঙ্গনের সংবাদ পেয়ে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবু রায়হান নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি বেগম মেঘনার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে মসজিদসহ নদীর তীর রক্ষাবাঁধ রক্ষায় তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজনের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন,‘আমরা আপনাদের সেবক, সেবা করাই আমাদের কাজ। আপনাদের বসত ভিটা, মসজিদ, জমি- জায়গা নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাবে তা আমরা হতে দিতে পারি না। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। খুব দ্রুত জিও ব্যাগের মাধ্যমে নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করবো। খুব সহসাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগযোগ করে স্থায়ী বাঁধ দেয়ার জন্যে প্রস্তাব পাঠাব ।’

উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান নূর হোসেন পাটওযারী বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার রাতে আপনাদের এলাকায় নদীভাঙ্গনের সংবাদটি পেয়েছি। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে আজ বুধবার সকালে ভাঙ্গন কবলিত ঘটনাস্থলে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার থাকবে, যতদিন ডা.দীপু মনি এমপি থাকবেন ততদিন হাইমচরের মাটি এ সর্বনাসা মেঘনা একতীলও ভেঙ্গে নিয়ে যেতে দেব না – ইনশাআল্লাহ। ’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান,‘ভাঙ্গনকৃত এলাকাটি আমি পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে নির্দেশনা দিয়েছি।’

ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ আলি মাস্টার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে এ এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এতে করে সরকারের স্থায়ী প্রকল্প নদীর তীর রক্ষাবাঁধ চরম হুমকির মুখে রয়েছে। আর দু’একদিন অতিবাহিত হলে স্থানীয় মসজিদটি নদীর গর্বে বিলীন হয়ে যেতো। আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এসে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে মসজিদটি রক্ষা করেন।’

এছাড়াও পরে চরভৈরবী ইউনিয়নের জালিয়ার চরে নদীভাঙ্গনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-প্রকৌশলী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এসএম কবির,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাওলাদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মো.ইসমাইল হোসেন
১০ জুলাই ২০১৯

Share