বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ডাকে ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
২২ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে সকাল থেকে এ অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, চোদ্দগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রনজিত কুমার বণিক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তপন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সুত্র ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন ভদ্র, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাসুদেব সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সভাপতি রাধেসাম সাহা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি গণেশ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক বাদল নন্দী, হাইমচর উপজেলার সভাপতি অজয় মজুমদার, হাজীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সভাপতি পরেশ পাল, সাধারণ সম্পাদক তপন মজুমদার।
বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সহিংসতা বন্ধসহ সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি জোড় দাবি করছি। সংখ্যালঘু সহিংসতা বন্ধসহ আমাদের দাবি না মানলে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী হতাশ ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
তারা আরো বলেন, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সব কটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল পৃথক পৃথকভাবে তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে কোনো কোনো দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। আওয়ামী লীগ তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে জাতীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দাবি ছাড়া বাদবাকি অন্য সব দাবি মেনে নেয়। দলটি প্রতিশ্রুতি দেয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করবে। এর পাশাপাশি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করবে; অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ পর্যন্ত এসব দাবি পূরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ প্রত্যক্ষভাবে দেখা যায়নি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখোন, চাঁদপুর পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রিপন সাহা, সাধারণ সম্পাদক ভাষ্কর দাশ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন চন্দ্র দে, চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক রসি বর্মন,নারী নেতৃ মৃধুলা সাহা, মাধুরী সাহা, তপতি কর প্রমুখ।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২২ অক্টোবর ২০২২