প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম ছেড়ে চাঁদপুরে পা রাখছেন স্বজনরা। তবে সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার তীব্র ভোগান্তির মধ্যে ঈদ শুরু করেছেন মানুষ।
ঈদযাত্রার শেষ সময়ে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এর ফলে সকাল থেকে শহর ছিলো মানুষের পদারচানায় মুখরিত। এছাড়া কালিবাড়ি থেকে ওয়ারলেস পর্যন্ত ছিলো যানজটের দীর্ঘ লাইন। এতে করে দুর্ভোগ পহাতে হয়েছে ঈদ ঘরমুখো মানুষের।
লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আপনভূমি চাঁদপুরে আসতে পেরে যাত্রীরা বেশ খুশি, কিন্তু খুশিমাখা মুখটা আর থাকে না যখন সিএনজি স্কুটার কিংবা অটোবাইকে উঠছেন।
একদিকে শহরের মূল বাইপাস বঙ্গবন্ধু সড়ক বিচ্ছিন্ন, অপরদিকে কুমিল্লা রোডে গর্তে ভরা। গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলছে, বাবুরহাট থেকে শহরের কালীবাড়ি ও পুরাণবাজার ব্রিজ পর্যন্ত সরষে রাখার জায়গা নেই।
অন্যদিকে চাঁদপুরে ভোর থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত হওয়ায় শহরের নি¤œাঞ্চল তলিয়ে যায়। যারা কোরবানীর পশু কিনেছেন তারা পশুনিয়ে আছেন বিপাকে এবং যারা এখনো কিনেনি তারা রাস্তায় পানির জন্য পশুর হাটে যেতে পারে নি। সব মিলিয়ে দুর্ভোগের কমতি ছিলো না। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দটুকু ভাগবাগি করতে পথে পথে সব দুর্ভোগ হাসিমুখে মেনে নেন মানুষরা।
একদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভীড় অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আশা সাগরিকা ও মেঘনা এক্সপ্রেসের ছাদে ছিলো মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করেই কাংক্ষিত গন্তব্যে রওনা হয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে সকালে যাত্রী চাপ কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভীড় জমতে শুরু করে। বৃষ্টি আর প্রচ- রোদে ক্লান্ত যাত্রীরা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েন।
বৃহস্পতিবার শেষ অফিস শেষে অনেক বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে ঈদ ছুটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় অংশ ছুটি নিয়ে আগেভাগে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রী উপস্থিতি বেশি ছিল।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ সামনে রেখে লঞ্চঘাট, ট্রেনস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে পকেটমার ও হকারদের উৎপাত বেড়ে গেছে। অনেকেই মানিব্যাগ ও মোবাইল হারিয়েছেন বলে জানান। অপরদিকে লঞ্চ থেকে নামলেই চালকদের টানা হেচরার কারনে বাড়ি ফিরতে আরো বিপাকে পড়তে হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুন দিয়েও পথে পথে ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
http://imgur.com/hwjxMjM
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ০০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ