Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, দু’জনের যাবজ্জীবন
Death

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, দু’জনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর শাহরাস্তির দেবকরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল বাসার (বাসু ডাক্তার) কে হত্যার অপরাধে মো.মনির হোসেন (২৫) কে মৃত্যুদণ্ড, মো. আব্দুল আজিজ (২৩) ও মো. আমির হোসেন (২৭) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।

মৃতুদণ্ড প্রাপ্ত মনির হোসেন ওই উপজেলার পদুয়া গ্রামের মো.আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত মো. আব্দুল আজিজ দেবকরা গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের এবং মো. আমির হোসেন একই গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।

পল্লী চিকিৎসক আবুল বাসার (বাসু ডাক্তার) দেব করা গ্রামের মৃত হাফেজ আলী আশরাফের ছেলে। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে দেবকরা নিজ বসত বাড়ির খুবই নিকটে ঘর নির্মাণের জন্য রড ক্রয় করার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা উল্লেখিত আসামীরা মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে প্রথমে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল বাসার ১১ জানুয়ারি রাত ১২ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আবুল বাসার আসামী মনির হোসেনসহ আরো ২-৩ জনের নাম বলেন।

এ ঘটনায় ১০ জানুয়ারি শাহরাস্তি থানায় নিহতের ছেলে মো.জহিরুল ইসলাম উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে ৩৯৪/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো.আমান উল্যাহ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.জহিরুল হক ২০১১ সালের ৮ মার্চ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

আদালত দীর্ঘ সাত বছর মামলা চলমান অবস্থায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং আসামীদের মধ্যে মনির হোসেন ও আব্দুল আজিজ তাদের অপরাধ স্বীকার করায় তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

অপর আসামী আমির হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করার আদেশ দেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো.ইকবাল-বিন-বাশার।

করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,সোমবার
এজি