চাঁদপুরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের পরিবার। এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ রফিক উল্লাহর পক্ষ থেকে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের নতুন বাজারস্থ মরহুম হেদায়েত উল্লাগ কোম্পানির বাড়িতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে এই ত্রান সহায়তা দেয়া হয়।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভা মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট সদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এর আগে নিম্নমধ্যবিত্তদের তালিকা করে রাতের বেলা গোপনে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়।
মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস যে মহামারি ধারণ করেছে তার থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এই সংকটকালীন পরিস্থিতি সাহসিকতা, ইতিবাচক মনোভাব, সচেতনতা ও ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আপদকালীন সময়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান করেছেন। এতে সাড়া দিয়ে চাঁদপুরেও অনেক সামাজিক সংগঠন ও বৃত্তবানরা এগিয়ে এসেছেন। যে যার সাধ্যমত গরিব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করছেন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহ তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি তাকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি চাঁদপুরে আরো যারা বিত্তবান রয়েছেন, তাদের অনুরোধ করব এভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে এগিয়ে আসার জন্য।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, এই মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে হবে। নিরাপদে থাকতে হলে ঘরে থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জবেদ উল্লাহ আমার কমান্ডার ছিলেন। তিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজকে তার গর্বিত ভাই নিজের উদ্যোগে দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় দেশ ও মানুষের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধা তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারগুলো সব সময় এগিয়ে এসেছেন। আমি এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলেন, করোনার প্রভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো আজ কর্মহীন-অসহায় হয়ে পড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমি আমার সামর্থ্য মতো গরীব মানুষদের পাশে দাড়িয়েছি। এছাড়াও এমন কিছু পরিবার আছে যারা না খেয়ে থাকলেও কারো কাছে হাত পাতবে না। আমরা তাদের তালিকা করে গোপনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যাবসায়ী মোশারফ হোসেন টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ সম্পাদক মারনুছ মাহমুদ তম্ময়, শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার সিহাব, ছাত্রনেতা আজিজুল হাকিম, শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউটের টিম লিডারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৩ এপ্রিল ২০২০