Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে স্বাস্থ্য খাতে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ ও দালাল চক্রের প্রভাব
স্বাস্থ্য

চাঁদপুরে স্বাস্থ্য খাতে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ ও দালাল চক্রের প্রভাব

চাঁদপুরের স্বাস্থ্য খাতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে, যা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। চলতি মাসের ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদপুরের সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার (তাকওয়া, মীম, এবং গ্রীন ভিউ) বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে তাকওয়া নামের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, এবং তা চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীনকে সামনে এনে একটি বিতর্কিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

ঘটনার সূত্রপাত: ঘটনাটি শুরু হয়, যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাকিব ভূঁইয়াকে চাঁদপুর তাকওয়া ডায়াগণস্টিক সেন্টারের দালালরা হামলা করে। পরবর্তী সময়ে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ঘটনাটি তদন্ত করতে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রমের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেন। এর ফলস্বরূপ, ১৪ নভেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, তাকওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পর পরিস্থিতি রাজনীতির পটভূমিতে রূপ নেয়।

আরও পড়ুন…  চাঁদপুরে প্রশাসনের অভিযানে তিন ডায়াগণস্টিক সেন্টার বন্ধ

অনুসন্ধানে জানা যায়, তাকওয়া ডায়াগণস্টিক সেন্টারের মালিক নাসরিন পারভীন। তিনি ‘ফ্যসিস্ট হাসিনা’ সরকারের সাবেক তিন বারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ডা. দীপু মনির চাঁদপুর প্রতিনিধি এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাবুর স্ত্রী। এই সেন্টার বন্ধ হওয়ার পর বিএনপি সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে শুরু করে এবং সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীনকে অভিযুক্ত করে তাকে অপসারনের দাবি জানায়। বিষয়টি দ্রুত রাজনৈতিক মাত্রা ধারণ করে এবং বিএনপির নেতারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকেন।

আন্দোলনে অংশ নেয়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সাথে সিভিল সার্জনের কথা বলা নিয়ে একটি অভিযোগ ওঠে। তারই পতিক্রিয়া হিসেবে দলের এবং সাধারন জনতা এ আন্দোলন করে। আন্দলনে যুবলীগের পদধারী জামাল মোল্লাসহ যারা অংশ নিয়েছে তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এটি দলীয় কোন কর্মসূচী নয়, তাই যেকোন ব্যক্তিই এতে অংশগ্রহন করেতই পারে।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন যে, বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির ভেতরে অনুপ্রবেশ করে এরা মূলত এ সরকারকে বাধাগ্রস্থ করার চেস্টা করছে। অনেকের মতে বিএনপি তাদের হীনসার্থে এদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের বিষয়টি সম্পর্কে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সেলিম উল্লাহ সেলিম জানান, এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না, যেহেতু এটি দলীয় কোন কর্মসূচী নয়, তাই কে বা কারা এটি করেছে আমার জানা নেই। কার নির্দেশে বা কি কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরা এ ধরণের আন্দোলন করেছে, তা শুধুমাত্র যারা সেখানে ছিলো তারাই এ ব্যপারে বলতে পারবে।

তবে বিএনপির এই নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বিষটি একেবারেই যে দলীয় সমপৃক্ততা নেই তা কিন্তু নয়। তার এ বক্তব্যে দলের অভ্যন্তরে এক ধরণের রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, “রাকিব ভূইয়ার ওপর আক্রমণের ঘটনার পর থেকে দালালচক্র রাজনৈতিক মদদ পেয়ে নানা অজুহাতে প্রশাসন এবং সিভিল সার্জন অফিসকে হুমকি দিতে শুরু করেছে।” তারা জানান, দালাল চক্রের সদস্যরা শনিবার (১৬ নভেম্বর) চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিসে হামলা চালানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিল, তবে অফিস বন্ধ থাকায় তারা পরের দিন রবিবার (১৭ নভেম্বর) আবারও সিভিল সার্জন অফিসের সামনে জড়ো হয়ে সিভিল সার্জনের অপসারন দাবি তুলে শ্লোগান দিতে থাকে। যার সাথে চাঁদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা নেই।”

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাকিব ভূইয়ার ঘটনায় মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগও ওঠেছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, যারা এই মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে রাকিব ভূইয়া লিখিত বক্তব্যে জানান, “গত ১০ নভেম্বর (২০২৪), চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সামনে নিউ তাকওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ কর্মরত দালাল মোহাম্মদ সিয়াম নামক এক ছেলে আমাকে আক্রমণ করে। এতে আমার মাথায় গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে উক্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন তদন্ত করছে। এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন সেহেতু আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি এ বিষয় নিয়ে কোন বিরূপ মন্তব্য অথবা কোন পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিতে চাই না। কারণ আমি বিশ্বাস করি বর্তমান প্রশাসন ও আদালত আমাকে ন্যায় বিচার দিবে। তাই, আমি চাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তী সংস্কার সম্পর্কিত বিষয়ে যেমন পূর্বেও সবাই আমার সাথে ছিল, আশা করি সামনেও থাকবেন। আমার চাওয়া একটায় চাঁদপুর সদর হাসপাতাল দালাল মুক্ত হোক। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা অবিলম্বে নিশ্চিত করা হোক”

আরও পড়ুন… চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে সমন্বয়কের ওপর তাকওয়া ডায়াগনস্টিকের দালালদের হামলা

অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স এবং অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকমতো মেনে চলা। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলতে সাহায্য করছি, তবে যদি কারো কাগজপত্র না থাকে, তাহলে প্রশাসন তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে এটাই সাভাভিক।”
একই কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, রোগীরা যেন দালাল চক্রের শিকার না হন এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা পান।”

এ ব্যপারে চাঁদপুর হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীন বলেন, বর্তমান সিভিল সার্জন চাঁদপুরে যোগদান করার পরই আমরা এসািেসয়েশনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এছাড়া চাঁদপুরের স্বাস্থ্যখাতে কঠোর নজরদারি এবং অনুমোদন বিহীন অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র নবায়ন না থাকে, প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে, তবে এই প্রক্রিয়া কিছু সময় নেয়ার বিষয়। তিনি আরও জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাগজপত্র নবায়ন করেনি, যা প্রশাসনের নজরে এসেছে এবং ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, আমি যতটুকু জেনেছি যে, জেলা বিএনপির সভাপতির সাথে সিভিল সার্জন স্যারের সাথে মোবাইলে আলাপকালে কোন একটা বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আর এ বিষয়ে জানার জন্য বিএনপির দলীয় কিছু নেতাকর্মীরা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা মনে করছিলো আমি সিভিল সার্জন অফিসের কর্তৃপক্ষ, সে হিসেবে আমার কাছে বলার জন্য আসছে, এবং আমাকে জানিয়ে গেছে।

এদিকে, চাঁদপুর সিভিল সার্জন এবং বিএনপি নেতার ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন সাংবাদিকদের জানান, “শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে ফোন করা হয়। ফোনকারী নিজেকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক পরিচয় দেন এবং অভিযোগ করেন যে, সিভিল সার্জন তাকে বাজে ব্যবহার করেছেন।”

সিভিল সার্জন ডা. নুর আলম দীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, “তিনি তখন একজন রোগীকে দেখছিলেন, তাই সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন।

তিনি আরও জানান, এই বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে এবং কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

“চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন  চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং দুজনের সাথেই আমার কথা হয়েছে। আমার যেটা মনে হলো যে, ফোনে দুজনে কোন একটা বিষয়ে কথা বলার সম স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এছাড়া আর তেমন কিছু নয়।”

এখন প্রশ্ন উঠছে, সিভিল সার্জন অফিসের সাথে বিএনপি নেতা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নামে চলমান উত্তেজনাটি শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝির ফল, নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরে স্বাস্থ্য খাতে প্রভাবশালী দালাল চক্রের মধ্যে রাজনীতিকদের সহযোগিতা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

রাকিব ভূইয়ার হামলার ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন এবং প্রশাসন একযোগে কাজ করছে, তবে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি, সিভিল সার্জন অফিসের ওপর রাজনৈতিক চাপ ও প্রোপাগান্ডার তীব্রতা পরিস্থিতিকে আরও গোলমালপূর্ণ করে তুলছে।

এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুরের সাধারণ জনগণ এবং স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতারা আশঙ্কা করছেন, প্রশাসন ও আদালত যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতেও সংঘটিত হতে পারে।

সচেতন মহল মনে করেন, স্বাস্থ্য খাতের এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, লাইসেন্স নবায়ন, এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। তবে, দেখা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী বিভিন্ন মহলের অযাচিত হস্তক্ষেপে প্রশাসন এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে, যার ফলে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অনেক সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যার অবসান হওয়া এখন সময়ের দাবি।

বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুরের জনগণ উদ্বিগ্ন এবং হতাশ। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহলের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এবং তাদের ব্যক্তি আক্রোশে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা, বা প্রশাসনের অযথা গড়িমসি, রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পক্ষে কখনওই সহায়ক হতে পারে না।
চাঁদপুরে স্বাস্থ্য খাতে যে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা চলমান ছিলো, এবং বর্তমানে তা নিরসনের চেস্টাকে বাধাগ্রস্থ করার যে অপচেস্টা, তা শুধুমাত্র প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার অভাব নয়, বরং এটি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগের ফল ।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ জনগণ এবং রোগীরা। সঠিক কাগজপত্র নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল। এর পাশাপাশি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি দায়বদ্ধতার ওপর আরো জোরালোভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে এই ধরনের রাজনৈতিক খেলা জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব না ফেলে।

প্রতিবেদক: মুসাদ্দেক আল আকিব, ১৯ নভেম্বর ২০২৪