চাঁদপুরে হতদরিদ্র গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩টি মা ও শিশুকল্যাণ হাসপাতাল হচ্ছে।এর মধ্যে মতলব উত্তরে ২ টি এবং হাজীগঞ্জে ১টি।
চাঁদপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো.দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে ২১ এপ্রিল জানান। চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জনহিতকর এ ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ,চাঁদপুর। এতে প্রতিটির ব্যয় হবে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনে এ প্রকল্পগুলের কাজ শেষ হবে।
চাঁদপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৩টি প্রকল্পের মধ্যে মতলব উত্তরেই ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো : উপজেলার চরাঞ্চলের নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মতলব উত্তর উপজেলার সাবেক ত্রাণমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘মোহনপুর মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল’, টরকি ইউনিয়নে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের পিতার নামানুসারে ‘আবদুল ওয়াদদু মা ও শিশু কল্যাণ’ হাসপাতাল ।
অপরটি হলো হাজীগঞ্জ গন্তব্যপুর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক ডা.সরোয়ার কামালের মায়ের নামানুসারে ‘তফুরেন্নেচ্ছা মা ও শিশু কল্যাণ’ হাসপাতাল। নির্মিত এ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের আবাসিক কোয়ার্টারও নির্মাণ হবে ।
এক ও অভিন্ন ডিজাইনে এ হাসপাতালগুলো নির্মাণ হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রকৌশলী আবদুল আলিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পোঁছে দিতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ছাড়াও সরকার হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করছে। তাই এস প্রতিষ্ঠানের কর্মরত চিকিৎসকগণ এখন গ্রামের নির্মল পরিবেশে থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আরো সহজ হবে।’
সহকারী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন ,‘ সরকার গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা মান বাড়াতে ১০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধূুনিক মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছেন। প্রতিটি হাসপাতালে ডেলিভারী কক্ষ ,ডাক্তারের কক্ষ ও স্টোর রুম ৬ তলাভীতে নির্মান হবে। ডাক্তারদের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
এপ্রিল ২২ , ২০১৯