চাঁদপুরে স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে ঝগড়া করার পর অভিমান করে মিজানুর রহমান নামের এক প্রবাসী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
২৩ আগস্ট বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় কমিউনিটি পুলিশ টহল সদস্য আদর্শ মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বিষ খাওয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী কে রাস্তায় পরে থাকতে দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জানা যায়, কমিউনিটি পুলিশ টহল সদস্য আদর্শ মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বিষ খাওয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (৫৫) কে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে। পরে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (৫৫) প্রায় ২৭ বছর যাবৎ প্রবাস জীবন যাপন করে আসছে। তার পিতা নাম মৃত ওসমান পাটোয়ারী। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নং বালিথুবা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সকদি বড় পাটোয়ারী বাড়ি। বর্তমানে তার দুই ছেলে ইমরান ও রিফাত প্রবাসে রয়েছে। তার ছোট ভাই মিন্টু পাটোয়ারী মাইক্রো চালক। পাঁচ বছর ধরে মিজান পাটোয়ারী তার স্ত্রীকে নিয়ে শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকার মিজি বাড়িতে সবুজের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার স্ত্রী বেবি আক্তার বাস স্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলার চিকিৎসক মিন্টুর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে রবিবার ঝগড়া সৃষ্টি হয়।
কমিউনিটি টহল পুলিশ সদস্য মুরাদ জানান, শহরের স্টেডিয়াম রোডস্থ এলাকায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩ টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে হাসপাতাল কতৃপক্ষ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলমের নির্দেশে এস আই আব্দুল কুদ্দুস(২) হাসপাতাল থেকে প্রবাসী মিজানুর রহমান পাটোয়ারীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃত মিজানুর রহমান পাটোয়ারীর পরিচয় সনাক্ত করতে চাঁদপুর পিবিআই ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে।
বাড়ির মালিক সবুজ ও তার মামা সিয়াম জানায়, মিজানের স্ত্রী বেবি সাথে ফয়সাল মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায় মিন্টুর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়েই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এক মাস পূর্বে তার বড় ছেলে একটা বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বলেন।
সবুজ আরো জানায়, ছেলের নির্দেশ মতো তাদের স্বামী স্ত্রী দুজনকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাদের বড় ছেলে বলেছে সে দেশে এসে তাদের বাবা-মার এই সমস্যার সমাধান করবে। ঘরের মালামাল আমাদের হেফাজতে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। গত মঙ্গলবার মিজানুর রহমান চাঁদপুর আসে। রাতে সে বাসার সামনে এন্ডিন নামক কীটনাশক খেয়ে রাস্তায় পরে থাকলে আমরা ও কমিউনিটি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানায়, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ২৩ আগস্ট ২০২৩