সম্পাদকীয়

চাঁদপুরে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ আরো জনপ্রিয় করতে উদ্বুদ্ধকরণ জরুরি

চাঁদপুরে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ আরো জনপ্রিয় করতে এখন প্রয়োজন উদ্বুদ্ধকরণ জরুরি। এ জেলায় তিন শতাধিক ব্যাংক শাখা রয়েছে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায় প্রতি উপজেলা সদরে কম হলেও একটি করে সোনালী, জনতা, কৃষি ও অগ্রণী ব্যাংকের শাখা রয়েছে।

এ ছাড়াও গ্রামীণ, কর্মসংস্থান, রূপালী, উত্তরা,সিটি, ইউসিবিএল, ইসলামী ব্যাংক প্রভৃতি ব্যাংকের শাখা তো আছেই ।

চাঁদপুর জেলায় ১শ ৯৩ টি মাধ্যমিক, ২শ’ ৬০টি মাদ্রাসা, ৪৮টি কলেজ,১ হাজার ১শ’১১ টি সরকারি প্রাথমিক,৪শ’৫০টি কিন্ডার গার্ন্টেন ও ২ শ”র মত রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মাদ্রাসা । ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম হলেও অন্তত ৬ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

অথচ চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুরের বিভিন্ন ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, ৪ হাজার ৫শ’ ১৩টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা সঞ্চয়ী হিসেবে আমানত রয়েছে।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ২০টি শাখায় ৯২৬ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ,জনতা ব্যাংকে ২০টি শাখায় ৪৭৬ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৩২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ,কৃষি ব্যাংকের ২৮টি শাখায় ৮৬৬ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা,অগ্রণী ব্যাংকের ১৭টি শাখায় ২৪৮ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৪ হাজার টাকা ,ইসলামী ব্যাংকের ৫ টি শাখায় ১ হাজার ৯৪৭ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে জমা আেেছ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার টাকা । যা পরিসংখ্যান মতে খুবই নগন্য । চাঁদপুরের জনপ্রিয় অনলাইল পোর্টালে ১ মে ২০১৭ এ সব তথ্য নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । সংবাদটি পাঠকপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সকল ব্যাংকের অভিভাবক। ওই ব্যাংক স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলতে ২০১০ সালের নভেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ‘স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম’ শুরুর অনুমতি দেয় । কেননা জনসংখ্যার বড় একটা অংশ স্কুল শিক্ষার্থী।

সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তাগণ, স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা আরো আন্তরিক হলে ‘স্কুল ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতেই স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়্ হয়। প্রথম দিকে কিছুটা কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। সামনের দিনে এ হিসাব খোলার প্রবণতা আরও বাড়তে প্রয়োজন ব্যাংক কর্মকর্তাগণ, স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা ।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন এ মাসেই ‘স্কুল ব্যাংকিং’ নামে একটি মেলা করার কথা ভাবছে বলে চাঁদপুরের দৈনিক গুলো এমন একাট সংবাদও পরিবেশ করেছিল। এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই ।

সুতরাং আমাদের আগামী প্রজম্মের জন্যে বিষযটিকে আরো জনপ্রিয় করতে সম্ভব সব রকমের উদ্যোগ সংশ্লিষ্ঠ মহতীবর্গ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি ।

সম্পাদকীয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭ : ০৫ পিএম, ২ মে ২০১৭, মঙ্গলবার
এজি

Share