চাঁদপুর

চাঁদপুরে সৌদিয়ান খেজুর চাষে চমকে দিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

খেজুর ফলের সাথে মরুর দেশ সৌদি আরবের নামটি আঙা-আঙিভাবে জড়িত। আরবিতে এই ফলকে বলা হয় তামুর।

বিশ্বব্যাপি নানা দেশে প্রায় ৫ হাজার জাতের খেজুর চাষ হলেও ফলটির কথা আসলেই সৌদি আরবের নামটি সর্বাগ্রে চলে আসে।

কারণ দেশটিতে রয়েছে নানা জাতের খেজুর। বাংলাদেশে এই ফলটির এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষত পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা চাহিদা থাকে আকাশচুম্মি। তাই বলা চলে বর্তমান বাংলাদেশে খেজুর ফলের বিশাল একটি বাজার রয়েছে।

তবে এ চাহিদার শতভাগই পূরণ করতে হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। এবার সৌদি আরবের সেই খেজুর চাষ করে চমক দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সফল চাষি।

তারা দেশিয় আবহাওয়ার খেজুরের চাষ করে প্রমান করে দেন যে এদেশের মাটিতে খেজুরের চাষ করা সম্ভব। তাদের মধ্যে তেমনই একজন চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ বেপারী।

তিনি মূলত শখের বশেই এই খেজুরের চাষ করেন। এরইমধ্যে তার বাগানের ১৩টি খেজুর গাছের মধ্যে ৪টিতে ফল দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এবং চাঁদপুর ল²ীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ বেপারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৬ একর জমির উপর একটি মৎস্য এবং ফল গাছের খামার গড়ে তুলেছেন। সেখানে তিনি দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফলজ গাছের চাষ করছেন।

২০০৯ সালে তিনি মক্কা নগরী সৌদী আরবে পবিত্র উমরাহ পালনে যান। সেখানে পরিচয় হয় খেজুর বাগানে কাজ করা চাঁদপুরের মো. হাবিবুর রহমানের সাথে। তখন হাবিবুর রহমান তাকে কিছু খেজুর দিলে দেশে ফিরে তিনি খেজুরের বীজগুলো তার বাগানে লাগান। বর্তমানে ১৩টি খেজুর গাছ বেঁচে আছে এবং সবগুলোতে ফুল দিতে শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যে ৪টিতে ফলও দিয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরে সৌদী আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে শুনে প্রতিদিন বহু উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করছে। তারা নিজের চোখে প্রিয়ফল খেজুর গাছ এবং গাছে থাকা খেজুর দেখতে ছুটে আসছে।

মো. হাফেজ বেপারীর মতে, বাংলাদেশে যে মানের খেজুর আমরা পেয়ে থাকি তা নি¤œ মানের। আর উন্নত মানের যে খেজুর আসে তার দাম অনেক বেশি, যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে খেজুর চাষ হলে আমাদের আর সৌদি আরবের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম

Share