সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের দু’ সদস্যকে শুক্রবার (২৫ মার্চ ) সকালে শহরের শপথ চত্বর আটক করছে পুলিশ।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের নির্দেশে এসআই অনুপ চক্রবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের সদস্য সুরুজ দাস (২৫) ও বাকির হোসেন বেপারীকে (২৮) আটক করে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ৫৩ তাং ২৫-০৩-২০১৬। ধারা: ৩৭৯, ৫১১ ও ৪২৭ দ:বি:। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।
চাঁদপুর মডেল থানার এজাহার সূত্রে জানা যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বি এম হান্নান গত ১৯ মার্চ ’১৬ আনুমানিক সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শহরের গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার স্ত্রীর মেডিকেল চেকআপের রির্পোট আনতে যায়। ওই সময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাইরে রাখা তার পেশাগত কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল (বাজাজ পালসার (কালো) নাম্বার চাঁদপুর-ল ১১-০০৮৮) আটক আন্তঃজেলা চোরাই চক্রের সদস্য সুরুজ দাস ও বাকির হোসেন বেপারী চুরি করার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪০মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট ধরে মোটর সাইকেলটি চুরি চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তালাসহ আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশ নষ্ট করে দেয়। মোটর সাইকেল চুরির চেষ্টার ঘটনাটি গ্রীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় রের্কড হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি বি এম হান্নান তার স্ত্রীর মেডিকেল চেকআপের রির্পোট নিয়ে বাইরে আসলে তারা কৌশলে কেটে পড়ে। এসময়ে তিনি দেখতে পান মোটর সাইকেলটির তালাসহ আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশ নষ্ট। আকষ্মিক ঘটনায় তিনি হতবিহ্বল হয়ে যান। তাৎক্ষনিক বিষয়টি গ্রীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে মডেল থানার এএসআই ত্রিনাথ সাহা, টিএসআই সুদর্শন কুড়ি ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদীসহ সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা গ্রীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় রের্কড হওয়া মোটর সাইকেল চুরির চেষ্টার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ আন্তঃজেলা চোরাই চক্রের সদস্য সুরুজ ও বাকিউল্লাকে শনাক্ত করেন। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ফুটেজ চলে যাওয়ায় দু’ চোর গা ঢাকা দেয়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতির মোটর সাইকেল চুরির চেষ্টার ঘটনাটি সংবাদকর্মীরা জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রাফুজ্জামানকে অবহিত করেন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ বি এম হান্নান বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন ।
অবশেষে ঘটনার ৬ দিন পর পুলিশ আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের দু’ সদস্য সুরুজ দাস(পিতা: মোহন দাস, চাঁদপুর রেলওয়ে কলোনী) ও বাকির হোসেন বেপারীকে(পিতা: ইমাম হোসেন,পূর্ব শ্রীরামদী,পুরানবাজার,চাঁদপুর।) আটক করতে সক্ষম হয়।
মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ শহরের একাধিক ব্যক্তি জানান, আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের আটক দু’ সদস্যকে পুলিশ রিমান্ডে নিলে রহস্য বের হয়ে আসবে। সেই সাথে শহরে একের পর এক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সিন্ডিকেটকে আটক করা সম্ভব হবে।