চাঁদপুরে সিনিয়র যুগ্ম জেলা জজের বোনের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

চাঁদপুর শহরের আদালত পাড়ার লতিফ কন্ট্রোলারের বাসা এর বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময় এই চুরি সংগঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।

এসময় ঐ বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ, ২ ভরি স্বর্ণালংকার, ভেলেন্ডার মেশিন, নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং দামি কাপড়চোপড় সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। ঐ বাড়ির মালিক হালিমা আক্তার ঝর্না (স্বামী মরহুম লুৎফুর রহমান কাজল) চাঁদপুর সময়কে জানান, আমরা কয়েক দিন আগে বাসায় তালা মেরে মেয়েকে কোচিং ক্লাশ করানোর জন্য ঢাকায় যাই। আমি আমার মায়ের কাছে বাসার ছাবি রেখে যাওয়ায় মা শহরের গুয়াখোলা থেকে প্রতিদিন এসে বাসা দেখে যেতেন। এতোদিন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ চোরচক্র বাসার তালা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে আমিরা ও শোকেসের তালা ভেঙ্গে এসব মালপত্র নিয়ে যায়। সকালে আমার মা বাসায় এসে গেইটের তালা ভাঙ্গা এবং ভেতর থেকে গেইট লক করা দেখে তিনি আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। এসময় তারা দেওয়াল টপকে বাসায় প্রবেশ করে বাসার দরজার তালা ভাঙ্গা দেখতে পান এবং ঘরের সব মালাপত্র মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর আমার মা আমাকে চুরি হওয়ার কথা জানালে আমি ঢাকা থেকে চলে আসি। এসে দেখি বাসার সবকিছুই চুরি হয়ে গেছে।’ এছাড়া চোরচক্র পানির কল পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এতে পানির ট্যাকিং থেকে সব পানি বের হয়ে ভেসে যায়।’

উল্লেখ্য হালিমা আক্তার ঝর্নার ভাই লক্ষীপুর জেলায় সিনিয়র দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি চাঁদপুর সময়কে বলেন, ‘চোরচক্রটি তালা ভেঙ্গে আমার বোনের বাসায় প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। আমি আশকরি চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসন দ্রুত চোরচক্রটিকে আটক করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

থানায় অভিযোগ করার কথা জানতে চাইলে হালিমা আক্তার ঝর্না জানান, চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হচ্ছে। আমরা আশাকরি পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চোরচক্রটিকে ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এর আগেও আমাদের বাসায় চুরি হয়েছে। কিন্তু তখনো চোর চক্রকে ধরা যায়নি। আমরা আশাকরি পুলিশ প্রশাসন চোরচক্রটিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে আমাদের মুল্যবান জিনিষপত্র উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এব্যাপারে আমরা চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।’

এসময় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, এখানে প্রায়ই চুরি সংগঠিত হয়। অথচ আদালত পাড়ায় রয়েছে একটি পুলিশ ফাঁড়ি। এর মধ্যে কিভাবে চোরচক্র চুরি করে পালি যায় তা অবাক হওয়ার মতো। আমরা আশকারি চোরচক্রটিকে গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

স্টাফ রিপোর্টার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share