চাঁদপুরে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ছাত্রদলের দু’পক্ষের মাঝে মারামারি সৃষ্টি হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারিসহ আরও কয়েকটি সভায় দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় মারামারি হচ্ছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
জেলা বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরের পর কার্যালয়ের সামনে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাবেক কয়েকজন ছাত্র নেতা ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলেও থেমে থেমে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এমনকি সভাশেষে ঠিক আবার সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে একপক্ষ মারামারির প্রস্তুতি নিলে উপস্থিত পুলিশ টের পেয়ে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নেতা-কর্মীরা জানায়,দলের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে এ সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারিসহ আরও কয়েকটি সভায় জেলা বিএনপি’র সমাবেশ চলাকালীন সময়ে ছাত্রদলের দু’পক্ষের একাধিকবার সংঘর্ষের কারণে অনেকটা তড়িঘড়ি করে সংক্ষিপ্ত সভা শেষ করেন নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন… কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিবাদ
হঠাৎ করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এরূপ সংঘর্ষের কারণে দলীয় নেতাদের মাঝেও ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ের কয়েকজন সিনিয়র নেতা তাদের বক্তব্যে কড়া সমালোচনাও করেন। তবে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাবেক ছাত্র নেতা জানান, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হঠাৎ করে এরকম সংঘর্ষে জড়ানো দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবে। কয়েকটি সভার মধ্যখানে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের নেতা-কর্মীদের দু’পক্ষের হাতাহাতি হলে কেউ কেউ জিয়া খালেদা বলে স্লোগান দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিচ্ছে। দলের স্বার্থে কেউ সমাধানে আসেনি। নেতৃবৃন্দের উচিত দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এখনই যারা এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১