চাঁদপুরে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার মধ্য শ্রীরামদী পরিত্যাক্ত স্থান থেকে সিএনজি চালক সুমন (২২) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুরাণ বাজার ফাঁড়ি পুলিশ সোমবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ওই এলাকার হজল বেপারীর বাড়ীর পিছন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

সুমন পুরাণ বাজার মোম ফ্যাক্টরী বেপারী মহল্লার আইয়ুব আলীর ছেলে। সে একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের সিএনজি অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতো।

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠে পাশের বাড়ির শিশু হাবিবা (১৩) সুমনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার মাকে জানায়। পরে লোকজন বিষয়টি ফাঁড়ি পুলিশকে অবহিত করে।’

এদিকে নিহত সুমনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আনা-নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, রোববার দিবাগত রাতে ফজল বেপারীর বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ পাওয়া যায়। যেহেতু তারা স্বপরিবারে মাদক ব্যবসা করে, সে হিসেবে তারা বিষয়টি তেমন একটা আমলে নেননি। কিন্তু সকালে লাশ উদ্ধারের পর ফজল বেপারীর বাড়িতে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফজল বেপারীর স্ত্রী রাশিদা, ছেলে সোহেল এবং ভাই রাসেল ওরফে রগকাটা রাসেলসহ অন্যান্যরা সকালেই গাঢাকা দিয়েছে। ফলে অনেকে ধারণা করছেন, ফজল বেপারীর সাথে নিহত সুমনের মাদক সংক্রান্ত কোন ঝামেলার জের ধরেই এ হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে।

পুরাণ বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকে রাতের বেলায় মেরে ফেলে চলে যায়। তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। তবে ঘটনাস্থল এলাকায় মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে।’

লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মুঠোফোনে তিনি জানান, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীকে আটক করা হবে। এছাড়া নিহতের অভিভাবকরা কাউকে অভিযুক্ত করলে তা’ও খতিয়ে দেখা হবে।’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share