চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ কুমুড়িয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে কাঁচা ঘরের সিঁধ কেটে দূধর্ষ চুরি করেছে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রোববার রাতে বাবু বেপারী (২৫) নামে এক চোরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২ জুলাই) গভীর রাতে কুমুড়িয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বসত ঘরে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কুমুড়িয়া গ্রামের সামতুল বেপারীর ছেলে চিহ্নিত চোর বাবু বেপারী দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা দায়ের করার পর সে আটক হয়ে বহুবার জেল খেটেছে।
জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সে এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রসহ এলাকাবাসীর বাড়ি ঘরে চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে যাচ্ছিল। গত সোমবার চোর বাবু বেপারী তার অপর সহযোগি বসু মিজির ছেলে আল-আমিন মিজি (২৫), ফরিদগঞ্জ হরিনা গ্রামের লোকমান রাড়ির ছেলে রুবেল (২৫)সহ বেশ কয়েকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বসত ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে।
এ সময় চোরচক্ররা সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ঘরে থাকা ৫টি মোবাইল সেট, ৩ ভরি স্বর্ণলংকার, নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে। চোর চক্রের উপস্থিতি টের পেয়ে সিরাজুল ইসলামের নাতনী মোবাইলে লাইট মারলে সাথে সাথে তার হাত থেকে চোর বাবু মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সিঁধ কাটা ঘরে চোর বাবুর শরীরে পরিহিত গেঞ্জি ও জুতা পাওয়া যায়। তার জুতা ও গেঞ্জি চিহ্নিত করে রোববার রাতে এলাকাবাসী তার বাড়িতে যায়। চোর বাবু তার ঘরের বাহিরে তালা মেরে ভিতরে খাটের নিচে অবস্থান নেয়।
পরে এলাকাবাসী ঘরের তালা ভেঙ্গে চোর বাবুকে খাটের নিচ থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। আটক চোর এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম