দেশবরেণ্য সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি, দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার চাঁদপুরের কৃতি সন্তান রুহুল আমিন গাজীর ২য় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ওয়াজিহিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে তার ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ শেষে রাত ওয়াজিহিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পাশে তার বাবা-মা’ কবরের পাশে দাফন করা হয়।
জানাজা নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা আমির আব্দুর রহিম পাটোয়ারী। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তার জানাজায় অংশ নেন সহস্রাধিক মানুষ।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় জানাজার আগে রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, শিক্ষক কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটন, চাঁদপুর শহর জামাতের আমির এডভোকেট শাহজাহান খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার আলী, জেলা বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু। তার একমাত্র ছেলে আফফান।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সদর উপজেলার আমির নাসির উদ্দিন, শহর শিবির সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম সহ বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে দুইটার পর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রুহুল আমিন গাজী। তিনি কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, উচ্চ ডায়াবেটিক, ব্যাক পেইন, লবণ ঘাটতিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রামে কর্মরত ছিলেন। সেখানে বিশেষ প্রতিনিধি, চিফ রিপোর্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরগুবিন্দিয়া গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণকারী রুহুল আমিন গাজী শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর দৈনিক ইত্তেফাকে ১৯৭৪ সালে রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন টানা ১৮ মাসের বেশি সময়। কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও জামিন পাননি তিনি।
বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন কাদের গনি চৌধুরী।
স্টাফ রিপোর্টার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur