Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে
সড়কের

চাঁদপুরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে

চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলো পুনঃসংস্কারের অসম্পন্ন কাজে ধুলো বালিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শহরবাসি। এমন দুর্ভোগ নিয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষরা প্রায় সময় নানা মন্তব্য করতে শুনা গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোর সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় প্রতিনিয়ত ধুলো বালি উড়ার কারনে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। ধুলো বালিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা। যখন বৃষ্টি হয়, তখন ধুলো বালি থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও। বৃষ্টির পানিতে খানা খন্দকে পরিণত হয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, গত কয়েক মাস পূর্বে চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাকরোড, মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, হাজী মহসিন রোড, পালপাড়া, চেয়ারম্যান ঘাটা জিটি রোড সহ বিভিন্ন সড়ক গুলো পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করেন চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

একই সাথে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়ক গুলোও প্রশস্তকরন সহ পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অভিমত কাজের অগ্রগতি কম থাকায় ধুলো বালিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।

ভুক্তভোগিদের অভিযোগ সড়কের এসব সংস্কার কাজ করতে হলে একদিকে যেমন দ্রুত গতিতে কাজ করতে হয়। অন্যদিকে ধুলো বালি থেকে রক্ষা পেতে কাজের স্টেমিটে বেকাপ দেয়ার জন্য বিষয়টি ধরা থাকে। কিন্তু চাঁদপুর পৌরসভা তেমন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহন করেননি। তারা মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কচ্ছপ গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা মনির হোসেন তালুকদার, নাজির হোসেন, দেলোয়ার খান, হারুন খান, আমির হোসেন, শাহআলম পাটওয়ারী সাখাওয়াত সহ অনেক ভুক্তভোগী বলেন, গত ৪/৫ মাস পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের নিউ ট্রাক রোডের সংস্কার কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকায় ধুলো বালি এবং চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। নিউ ট্রাক রোড সড়কটি হচ্ছে শহরের অন্যতম একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, তেলের লড়ী, পিকআপ ভ্যানসহ অসংখ্য ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। দেখা গেছে সড়ক দিয়ে যখন এসব ভারী যানবাহন চলাচল করে,তখন সড়কে মাটির খোড়ার গর্ত এবং পিরিজিং ঢালাই না থাকার কারনে অনেক ধুলো বালি উড়ে। আর সেই ধুলো বালি উড়ে গিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের গায়ে পড়ে। সড়কের এসব ধুলো বালি পথচারী ও স্থানীয়দের নাকে মুখে চোখে প্রবেশ করে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট ও এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

তারা আরো বলেন, সড়কের চলমান কাজের সময় যখন বৃষ্টি হয়, তখন তারা ধুলো বালি থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও। পেক কাঁদা মিশ্রিত পানিতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই ভুক্তভোগীদের দাবি চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোর এমন অসম্পন্ন কাজ গুলো দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করে এমন দুর্ভোগ থেকে অচিরেই মুক্তি পেতে চান তারা।

চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌরসভা যদি কোন প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। তাহলে ওই প্রকল্পে পরিবেশ দূষণে কি ব্যবস্থা নিবেন সেটাও উল্ল্যেখ রয়েছে। তারা যদি সেভাবে পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করে তাহলে তারা সেভাবেই কাজ করা উচিত। এর আগে তো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার সাথে কথা বলে যাচাই করে ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শামছুদ্দোহা বলেন, শহরের রাস্তার কাজ করতে গিয়ে স্টীটে এসব ধরা থাকেনা। তবুও আমাদের নিজেদের উদ্যোগে কয়েকদিন ট্রাকে করে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখন হয়তো বর্ষা সৃজন। টুকটাক বৃষ্টি হয়। যখন বৃষ্টি না হবে তখন আমারা চেষ্টা করবো আবারো নিয়মিত পানি দেয়ার জন্য।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৩০ আগস্ট ২০২৪