চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল । মেঘনা,পদ্মা, মেঘনা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন এর পরেই সরিষার স্থান। এ বছর চাঁদপুরে ৪ হাজার মে. টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে।
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সরিষা উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলি।
চরাঞ্চলগুলি হলো- মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লক্ষ্মীমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল -৩ হাজার ৪শ’৪৫ হেক্টর জমিতে।
এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ হয়েছে ৩ শ’ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩ শ’ ৬৬ মে.টন,
মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ শ’২০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১হাজার ৯ শ’১২ মে.টন,
মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ হয়েছে ৬শ’ ৩০হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৭ শ’ ৪৩ মে.টন,
হাজীগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ৩শ’ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩ শ’৫৪ মে.টন,
শাহরাস্তিতে চাষাবাদ হয়েছে ১শ’ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১ শ’৯৫ মে.টন,
কচুয়ায় চাষাবাদ হয়েছে ২ শ’৭২ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩ শ’২১ মে.টন,
ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৭০ মে.টন এবং
হাইমচরে চাষাবাদ হয়েছে ৮৮ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১ শ’৪ মে.টন।
প্রতিবেদক- আবদুল গনি[/author: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০০ এএম, ১৩ জুন ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ