চাঁদপুরে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার আহ্বান হেফাজত নেতৃবৃন্দের

চাঁদপুরে সহিংসতা প্রতিরোধ, সংখ্যালঘুদের জান-মাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দরা। ‌‌৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক মিছিল শেষে শহরের শপথ চত্বর বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এ আহ্বান জানান।

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হোসাইনের সভাপতিিত্বে ও জয়েন সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, জালিমদের শোষণ-নিপীড়ন যখন সকল মাত্রা অতিক্রম করে, তখন স্বয়ং আল্লাহ কোন না কোন উছিলায় তাদের ধ্বংস করে দেয়। এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সাধারণ মানুষের উপর নানাভাবে নির্যাতন করেছে। সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে দেশের আলেম সমাজের উপর। সবশেষ আমাদের ছাত্রসমাজ তাদের একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু স্বৈরাচার সরকার তাদের বুকেও গুলি চালিয়েছে। ফলে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের আপামর জনতা।
বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সকলের প্রতি আমারদের অনুরোধ থাকবে, আমাদের এই অর্জন যেন ম্লান না হয়ে যায়। কোন অপশক্তি যেন এই সুযোগে সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে। দেশের সাধারণ মানুষ ও সংখ্যালঘুদের জান-মাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা হিন্দু ভাইদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিব। আমরা সবাই এদেশে নাগরিক।‌আমরা সবাই সম্প্রীতি বন্ধনে এই দেশে বসবাস করব।

হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দরা বলেন, এ আন্দোলনে যেসকল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে তাদের সকলকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দিতে হবে। যারা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ দেশ এবং দেশের মানুষের স্বার্থে ছাত্ররা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মনির, মাওলানা মোস্তফা, ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা সাইফুদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৬ আগস্ট ২০২৪

Share