চাঁদপুর

চাঁদপুরে ষোলঘর উবিতে প্রধানশিক্ষক রেজাউল করিমের যোগদান

চাঁদপুর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্র্ড এলাকার ভেতর অবস্থিত ষোলঘর আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক রেজাউল করিম ১ জুলাই ২০১৮ যোগদান করেন। তিনি অভিজ্ঞ ও পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর মতলব দক্ষিণের বহরী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আবদুর রব প্রধানীয়া যিনি একজন স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মাতার নাম জাহানারা বেগম যিনি ছিলেন গৃহিণী।

তিনি ১৯৮৩ সালে বহরী প্রাথমিক স্কুল থেকে প্রাথমিক, ১৯৮৮ সালে বহরী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএস সি, চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে এইচএসসি ও ঢাকা তেজগাঁও কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে বিএসসি পাস করেন।

১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর মতলব নাউরী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। অত:পর ১৯৯৯ সালে কুমিল্লার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় েেথকে বিএড ডিগ্রি নেন।

পরবর্তীতে ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর সদরের নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ১ জুলাই তিনি মৈশাদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

প্রধানশিক্ষক মো.রেজাউল করিম দীর্ঘ ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সর্বশেষ ১ জুলাই ২০১৮ চাঁদপুর সদরের ষোলঘর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশে শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি প্রধানশিক্ষক মো.নঈম উদ্দিন খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

এছাড়া তিনি শিক্ষক আন্দোলনে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের দাবি দাওয়া আদায়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিতে যোগদান করেন এবং চাঁদপুর সদরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাবেয়া রোজির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যিনি বর্তমানে চাঁদপুর সদরে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁরা এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের সৌভাগ্যশীল জনক-জননী।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানশিক্ষক চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘বাবারর অনুপ্রেরণায় তিনি মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে মহান শিক্ষকতার পেশায় যোগদান করেন। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল ষোলঘর আর্দশ বিদ্যালয়কে চাঁদপুর জেলার প্রথম সারির ও গুণগত মানসস্মত শিক্ষা বিস্তারকারী একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’ তাই তিনি অভিভাবক,শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, ষোলঘর আর্দশ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৭৪ সালে জুনিয়র স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে এটি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। নারী শিক্ষাক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় সামান্য অবদান রেখে আসছে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬: ০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার
এ এস

Share