চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে শীতের সবজি আসা শুরু করলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দু-এক ধরনের ছাড়া কোনো সবজি ৭০/৮০ টাকার নিচে মিলছে না। সবজি চড়া দামের কারণে চাহিদানুযায়ী ক্রেতারা সবজি ক্রয় করতে পারছেন না।
জানা যায়, ফুলকপি, পাতাকপি, গাজর, পটল, বেগুন, বরবটি, কাঁচা কলা, ঢেঁড়স, করলা, শিম, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের সবজির দাম কমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ৯০-১০০ টাকা, পাতাকপি কেজি প্রতি ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, টমেটো ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১০০-১৪০, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, কুমড়ার জালি পিস প্রতি ৩০ টাকা, পটল ৫৫-৬০ টাকা, দেশি করলা ৮০-৯০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা, প্রতি কেজি ঝিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অন্যান্য সবজি র দামও আগের তুলনায় বাড়তি। এদিকে, সয়াবিন (৫ লিটার) তেল ৪৬৫ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ ঢাকায় যাওয়ার কারণে দাম বাড়তি রয়েছে। শিগগিরই নাগালের মধ্যে চলে আসবে সবজির দাম।
ক্রেতারা আরও জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাহিদানুযায়ী সবজি ক্রয় করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ বাজারে মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা এ ধরনের সুযোগ নিচ্ছে।
বার্তাকক্ষ,১৪ নভেম্বর,২০২০;