চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে রড চুরিসহ একাধিক মামলা দায়ের পরবর্তী সাক্ষী না দেয়ায় যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর মোল্লা বাড়িতে।
ঘটনার বিবরণে জানায়, চাচাতো ভাইকে মামলায় ফাঁসাতে প্রতিবেশিসহ একাধিক ব্যক্তিকে সাক্ষী করানো হয়। মামলা সম্পর্কে কিছুই জানে না সাক্ষীরা।
মোল্লা বাড়ীর মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে কাদির মোল্লা গত প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাড়ীর সকল এজমালি সম্পত্তি চাচাতো ভাই ফারুক মোল্লা গংদের কাছে পরিবর্তন করে বাড়ীর পূর্ব পাশে একক সম্পত্তি দখলে নেয়। সেখানে কাদের মোল্লা বসত বাড়ী গড়ে তোলেছে।
কিন্তু কাদের মিয়া ফারুক মোল্লাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে জোরপূর্বক বাড়ীর পাশে কবরের স্থান নির্মানের সময় ফারুক মোল্লা বাধাঁ দিলে তাকে রড চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে কাদের। আর এসব মামলায় মোল্লা বাড়ীর একাধিক লোকের নাম উল্লেখ করে সাক্ষী দেওয়া হয়েছে।
অথচ সাক্ষীরা এসব ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানা যায়। এদিকে এসব মামলায় আদালতে সাক্ষীদের নিয়ে হাজির হতে ব্যর্থ হোন কাদের মোল্লা। যে কারনে আদালত এসব মিথ্যা মামলা খারিজ করে দেয়। আর এতে করে আদালতে গিয়ে সাক্ষী না দেওয়ার ফলে গত ১৬ আগষ্ট মোল্লা বাড়ীর প্রায় ২৫ পরিবারের পুরানো চলাচলের পথে দেওয়াল নির্মান করে বাধাঁ প্রধান করে কাদের মোল্লা ও তার আপন চাচা আবিদুর রহমান মোল্লা।
এ সম্পর্কে মোল্লা বাড়ীর ফুলবানু, মাজুদা, মনোয়ারা, নূরজাহান, আঞ্জুমা বেগম, হাজী মনিরুজ্জামান, জাকির হোসেন, আ. মান্নানসহ শতাধিক লোকের অভিযোগ করে বলেন, তাদের চাচাতো জেটাতো ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা সক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সর্বশেষ রড চুরির অভিযোগে কাদের মোল্লা একই বাড়ীর সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে সাক্ষী দিতে বলেতেছে। অথচ আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না, তাই কাদের মোল্লার মামলায় আমরা সাক্ষী দিতে রাজি হইনি। সাক্ষী না দেওয়ার কারনে কাদের মোল্লা এলাকার কিছু ভাড়াটিয়া লোকজন এনে বাড়ীর চলাচলের পথে দেওয়াল নির্মান করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাদের মোল্লা বলেন, ‘বাড়ীর লোকজনকে কয়েকবার বলেছি চলাচলের পথ নিয়ে বসতে কিন্তু তারা ফারুক মোল্লার ভয়ে বসতে রাজি হচ্ছে না। তাই আমার জায়গার উপর দেওয়াল নির্মাণ করেছি।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়