চাঁদপুরে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের শুরুতই শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ২৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ টি বড় ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
চাঁদপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয় এমপিদের ডিও (ডিমান্ড অব অর্ডার) লেটারের ভিত্তিতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে।
রোববার (৭ এপ্রিল ) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন।
চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূুত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ৩ টি বৃহৎ প্রকল্প চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের শুরুতেই শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ গ্রহণ করেছে। এতে ২৯৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ‘ নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন চাঁদপুরের নির্বাচনি এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের সুপারিশক্রমে ১০টি করে বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হবে। এতে প্রতিটির প্রাক্কলিত ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তবে গার্লসদের স্কুল ভবন হলে ব্যয় হবে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি টাকা। যা জুনে সম্পন্ন হবে।
‘নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন চাঁদপুরের নির্বাচনি এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের সুপারিশক্রমে ১০টি করে বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ থেকে ৪তলা বা ২ থেকে ৩ তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এতে প্রতিটির প্রাক্কলিত ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর ৫০টির মধ্যে এ বছর ৩২ টির কাজ সম্পন্ন হবে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি টাকা। যা জুনে সম্পন্ন হবে।
‘ নির্বাচিত বে-সরকারি মাদ্রাসা সমুহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন চাঁদপুরের নির্বাচনি এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের সুপারিশক্রমে ৬ টি করে বে-সরকারি মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হবে। এতে প্রতিটির প্রাক্কলিত ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। যার কাজ জুনে সম্পন্ন হবে।
এদিকে নির্বাচিত সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন চাঁদপুরের ৭ টি সরকারি ও ৩ টি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গত অর্থবছর ও চলতি অর্থবছর প্রতিটি ৬ লাখ টাকায় ১০ টি শহিদ মিনার চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণ করেছে।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা বলেন,‘এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লিক পরিবর্তন সূচিত হবে। ভবনগুলো লেখাপড়ার মানন্নোয়নে যথেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকগণ পাঠদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ বাস্তবায়নে ‘মানসম্মত শিক্ষার চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলায় ওই প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে থাকবে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নে নির্বাচিত বেসরকারি ঐ ভবনগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।’
কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রকৌশলী বলেন,‘স্ব-স্ব এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যগণের ডিও লেটারের সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের নামের প্রস্তাবটি আমাদের দপ্তরে আসা মাত্র সরেজমিন পরিদর্শন করার পর প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন বিভাগে প্রকল্পটি প্রেরণের পর অনুমোদন প্রাপ্ত হলেই চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ বাস্তবাযনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।’
প্রতিবেদক- আবদুল গনি
৯ এপ্রিল, ২০১৯