চাঁদপুর সদরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষকদের নতুনভাবে যোগদানকৃত ৫৩ জনের মধ্যে ৪৯ জনের কাছ থেকে সার্ভিস বুকের নামে অবৈধভাবে অর্ধ-লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমের কক্ষে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন মনির হোসেন। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরকে টাকা নেয়া কোনো নিয়ম নেই বলে জানান।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগের ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫৩ জন শিক্ষক চাকুরিতে যোগদানের জন্য সার্ভিস বুক খোলা ও চাকুরি বিধি বা নিয়মনীতির জন্যে অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারী অফিস সহকারী মনিরের স্মরণাপন্ন হন। যেখানে এ কাজ প্রতিটি শিক্ষক নিজেরা নিজেদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ করবে। সেখানে মনির শিক্ষকদের আবল-তাবল বুঝিয়ে জন প্রতি ৫শ, ১ হাজার বা ১ হাজার ৫শ’ টাকা করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়।
এ বিষয়টি মনির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কারণ তাদের ১২ থেকে ১৫ টি কাগজ স্ক্যানিং করে পাঠাতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে না জানিয়ে এ কাজ করা হয়েছে কেন এমন এক প্রশ্নের জবাব মনির হোসেন উত্তর দিতে পারে নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম জানায়,‘ সার্ভিস বুকের বিষয়টি সবাই নিজেরটা নিজে করবে। এ টাকা নেয়ার কোনো ইখতিয়ার কারো নেই। আমি বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের সবাইকে মঙ্গলবার টাকা ফেরত দেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানায়,‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। মঙ্গলবার সবাইকে ডেকে টাকা ফেরত দেয়া হবে। আর মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ অক্টোবর, ২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur