চাঁদপুর শহরের পাল পাড়া এলাকায় ঝর-বাতাসে হেলে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি মেরামত করে সচল করতে পিডিবির লোকজন ২০ হাজার টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারনে কয়েক ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিহিন রয়েছে ওই এলাকার ৮০/৯০ টি পরিবার। যদিও গ্রাহকদের সেবা দেয়ার দায়িত্ব পিডিবি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু পিডিবি,র লোকজন টাকা ছাড়া সেবা না দেয়ার এমন বহু অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের কাছে।
ওই এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ঝর বাতাস শুরু হলে ওই সময় পালা পাড়া আজিজ ব্রাদাসের আব্দুল আজিজ মিয়ার বাসার পেছনে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে যায়। এসময় একটি টিন শেট ঘরের সাথে বিদ্যুতের তার লেগে শর্টসার্কিট হলে
লক্ষ্মীর মা নামে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা আহত হন। পরে দুর্ঘটনা বিষয়টি স্থানীয়রা চাঁদপুর বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রে কল দিয়ে জানালে তারা তা সাথে সাথে বন্ধ করে দেন।
এলাকাবাসির অভিযোগ ঘটনার পরদিন শনিবার পর্যন্ত হেলে পড়া ওই বিদ্যুতের খুঁটিটি মেরামত করা হয়নি। তাদের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্চুক একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ শনিবার সকালে পিডিবির, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও মামুন নামে দু,জন ব্যাক্তি বিদ্যুতের খুঁটিটি মেরামত করার করতে শ্রমিকদের দিবে বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাদের এমন দাবিতে নিরুপায় হয়েই ওই এলাকার সফিক মৃধা ও ছোবহান বেপারী ভোক্তভোগী নিজাম উদ্দিন, জলিল সরকার, আব্দুল আজিজ, আরব আলী, কালী কুন্ডু, রফিশ তালুকদার, সমীরন, মহাদেব সহ একাধিক লোকের কাছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের চাঁদা উঠাতে থাকেন।
আর এমন চাঁদা তুলতে গেলে অনেকে তা দিতে অপরাগতা জানায়। আবার অধিকাংশ লোকই দ্রুত বিদ্যুৎ পেতে বাধ্য হয়েই সে চাঁদা দিয়েছেন।
যদিও গ্রাহকদের সেবা দেওয়া পিডিবি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কিন্তু পিডিবির কিছু অসৎ লোকের এমন চাঁদা দাবির কারনে দ্রুত সেই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। অন্যদিকে পিডিবির ও বদনাম ছড়াচ্ছে এসব অসৎ কর্মচারীরা। তাই তদন্ত সাপেক্ষে এসব অসৎ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পিডিবি,র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের (পিডিবি,র ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ জানান, আমাদের লোকজন অন্য জায়গায় কাজ শেষ করে পাল পাড়ার ওই খুঁটিটি মেরামত করতে যাবে। টাকা উঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমরা কারো কাছে টাকা চাইনি।
টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি আমার জানা নেই।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৪ এপ্রিল ২০২০