চাঁদপুরে শবে বরাত উপলক্ষে বেড়েছে মাংসের দাম

পবিত্র লাইলাতুল বরাতে (শবে বরাতে) রোজা রাখেন এবং ভালো খাবার আয়োজনের রেওয়াজ রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে। এরমধ্যে অন্যতম অনুষঙ্গ গরুর মাংস-রুটি। এ উপলক্ষে এই দিনে বেশ বাড়তি চাহিদা থাকে মাংসের। আর এ সুযোগে বাড়তি দাম হাকান মাংস ব্যবসায়ীরা। এর ফলে চাঁদপুর পালেবাজার এবং বিপনীবাগ বাজারের বিভিন্ন মাংসের দোকানে বেড়েছে মাংসের দাম।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম উঠেছে ৮০০-৮৫০ হারছারা মাংস দিলে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে মাংস ব্যাবসায়ীরা। একজন

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে বরাত উপলক্ষে গরুর মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে সারাদেশেই হাটে গরুর দাম বেড়েছে।

পাড়া-মহল্লায় এদিন প্রচুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। অনেক যায়গায় স্থানীয়রা গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস বিক্রি করছেন। বাজারের তুলনায় এসব দোকানে দাম আরও বেশি।

তবে মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে গরু মাংস নাম করে । পাশেই গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেনার জন্য দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। যেসব দোকানে দিনে একটি গরু জবাই করা হয়। আর বাজারভেদে গরুর মাংসের দামে পার্থক্য দেখা গেছে।

বিপনীবাগবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এ দোকানে এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানান বিক্রেতা সালাম। অন্যদিকে শান্তিনগরে এ মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বিপনীবাগ বাজার মাংস বিক্রেতারা বলেন, হাটে গরুর দাম একদিনে কম করে হলেও ১০ হাজার টাকা বেড়েছে। পবিত্র শবে বরাতের কারণে চাহিদা বাড়ায় হাটে গরু পাওয়াই যাচ্ছে না। এ কারণে দাম বেড়েছে।

এদিকে বেশি দাম সত্ত্বেও বাজারে বেশিরভাগ মাংসের দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল বেশী। অনেকে মাংসের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু দাম বেশী হওয়ায় তার সাত্ত হয়নি কিনার।

মোঃ শাহআলম এক ক্রেতা বলেন, শবে বরাতে ভালোমন্দ খাওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে। এখন দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। কষ্ট হলেও কিছু করার নেই এক কেজি মাংস ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছি কি করব ভাই আর অন্য কিছু কিনতে পারিনি। মুরগি কিনার ইচ্ছা ছিল তাও দাম বেশী। এক কেজি বয়লার ২৫০ টাকা ৩৪০ কক মুরগির দাম বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা। আরেক ক্রতা মোঃ আবুল হাসেম বাজারের কথা বাসা থেকে বলছে। গরু মাংস এবং মুরগির দাম শুনে আর যাও য়া হয়নি কোন বিশেস দিন আসলে ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। হিম সিম খায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে এ বিষয় প্রশাসন নজর রাখা দরকার বলে আমার মনে হয়। এমন পবিত্র দিনের চাহিদাকে পুঁজি করে মাংসের এ মূল্যবৃদ্ধি ঠিক নয়। হুট করে এভাবে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।

প্রতিবেদক: এমকে এরশাদ, ৮ মার্চ ২০২৩

Share