ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানুর’ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলার অংশে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এর প্রভাবে শুক্রবার (২০ মে) সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোদের দেখা মেলেনি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
লঞ্চ বন্ধ থাকার বিষয়টি বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিকলীগের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব সরকার মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে শুকনো খাবার ও অতি প্রয়োজনীয় মালামাল সাময়িকের জন্য বিক্রি না করার জন্য বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট ও হাসপাতালের লোকজনকে দুর্ঘটনা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আজহারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান শুক্রবার সারাদিন চাঁদপুরের আবহাওয়া অনেকটা খারাপ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রোহানুর প্রভাব চাদপুরেও পড়তে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস দেশের উপকুলীয় জেলাগুলিতে যেহেতু ৭ নম্বর সংকেত দিয়েছে। সে হিসেবে চাঁদপুরেও ৭ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে ।
এদিকে মেঘনা নদীতে ভোলা জেলার অংশে ১০ হাজার দুই শ কর্মী বাহিনীকে মাঠে নেমে এ বিষয়ে প্রচার করে সতর্ক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত আশ্রয় নিতে পারে।
সাগর ও নদনদীতে ছোট ছোট নৌযানে চলাচল না করার জন্য জনগণকে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৯২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের যানবাহনকেও পস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, চাল, গুড়-মুড়িসহ শুকনো খাবার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে আপদকালীন সময়ে সঠিকভাবে দেওয়া যায়।
বন বিভাগকে বলা হয়েছে বাতাসে গাছ উপড়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সরিয়ে রাখা হয়।
কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৪০ পিএম, ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ