চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি আব-এ জমজম লঞ্চের ২য় তলার স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।
২৩ অক্টোবর,শুক্রবার তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন, লঞ্চের স্টাফ রাসেল খান (২৮), সুজন মোল্লা (২২) ও মাসুম গাজী (৪২)। এই তিনজনই এমভি আব এ জমজম নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে গ্রিজারম্যান।
আরও পড়ুন… চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ঘটনার একদিন পার হয়ে গেলেও পরিচয় মেলেনি তরুণীর। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তরুণীর সঙ্গে থাকা পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটির সন্ধান মেলেনি এখনো।
নৌপুলিশ থানার ওসি কবির হোসেন খান জানিয়েছেন, মামলা হলে এই তিনজনকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
তিনি জানান, এমভি আব এ জমজম লঞ্চের মালিকপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করার কথা রয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিমউদ্দিন জানান, মামলা করার পর তদন্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পুলিশ তরুণীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবে।
এর আগে ২২ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থানকারী এমভি আব এ জমজমের দ্বিতীয়তলার ২৩৫ নম্বর তালাবদ্ধ কেবিন থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিআইডি, পিবিআই, নৌপুলিশ ও জেলা পুলিশসহ মরদেহ ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আদালত সংগ্রহ করে। তবে লঞ্চটিতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তরুণীর সঙ্গে কেবিনে অবস্থানকারী এবং পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমভি আব এ জমজম। লঞ্চটি ছাড়ার আগে তরুণীর সঙ্গে আসা ব্যক্তিটি ৭০০ টাকার বিনিময়ে লঞ্চের স্টাফ সুজন মোল্লা থেকে কেবিনটি ভাড়া নেন। তবে লঞ্চটি চাঁদপুর টার্মিনালে পৌঁছালে কেবিনে তালাবদ্ধ করে তরুণীর সঙ্গের ব্যক্তিটি গাঢাকা দেয়।
এদিকে তরুণীর মরদেহের সুরতহালে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে ধর্ষণের পর তরুণীকে গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
সিআইডির পরিদর্শক আহসান হাবিব এবং পিবিআইয়ের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, তরুণীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আটকের পর মূল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
করেসপন্ডেট,২৪ অক্টোবর ২০২০