Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে লঞ্চযাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন
লঞ্চযাত্রীকে

চাঁদপুরে লঞ্চযাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন

ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার জের ধরে মো. সুমন গাজী (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমন গাজী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর বুধবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।

হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার বিকেলে সুমনের মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।

লঞ্চযাত্রীকে

সুমন গাজী সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকার ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে। তিনি ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় ফার্নিচারের ব্যাবসা করতেন।নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান বাবু আহমেদসহ অভিযুক্ত ৮ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন…  চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দলবদ্ধ বখাটেদের ছুরিকাঘাতে যাত্রীকে হত্যা, আটক ৮

আটককৃতরা হলেন,মতলব উত্তর ছেংগারচর এলকার একেএমের ছেলে বাবু আহমেদ প্রকাশ মামুন(২২),
উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোড এলাকার হাসান আলীর ছেলে সবুজ প্রধানিয়া (২৩), খোকন মোল্লার ছেলে সাজ্জাদ মোল্লা (২৩), চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার নাসির উদ্দিন মাঝির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আপন(২২), রহমতপুর কলোনি এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে সবুজ খান (২১), গুনরাজদী এলাকার আমির হোসেন বেপারীর ছেলে হাসান মাহমুদ সোহাগ (২১), ইচলি এলাকার আঃ খালেক গাজীর ছেলে রাকিব হোসেন গাজী (২২), দেলোয়ার হোসেন বেপারীর ছেলে ইয়ামিন (২২) ও

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ৮টার দিকে ঢাকা সদরঘাট থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন সুমন। লঞ্চে তাঁর পাশের আসনে ছিলেন মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর এলাকার বাসিন্দা বাবু আহমেদ। আসনে বসা নিয়ে সুমনের সঙ্গে বাবুর কথা–কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে হুমকি-ধমকি দেন বাবু এবং লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে বাবু মুঠোফোনে কল করে তাঁর বন্ধুদের লঞ্চঘাটে আসতে বলেন।

ওসি আরও বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছালে বাবু ও তাঁর বন্ধুরা সুমনের ওপর চড়াও হন। তাঁরা সুমনকে ব্যাপক মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সুমনের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোনসহ অন্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর গুরুতর আহতাবস্থায় সুমনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে সুমনের মৃত্যু হয়।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বিকেলে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত বাবু আহমেদসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে পাঁচজনকে এবং লঞ্চের সিসি ক্যামেরা দেখে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিবেদক: আশিক বন রহিম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২