Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / চাঁদপুরে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০
লক্ষ্মীপুর

চাঁদপুরে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা ও পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের বহিরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, লোকমান গাজী, মুকসুদ মুজি, হাবিব খান, সোবাহান বেপারী, সাদা সুমন খান প্রমুখ।

ঘটনার পর ইউনিয়ন যুবদলের শত শত বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী ঘোষিত যুবদলের কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও নব-ঘোষিত সেক্রেটারি নূর মোহাম্মাদ বেপারী জানান, ‘আজকে বিকেলে আমাদের বহুল প্রতিক্ষিত ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ছিলো। সম্মেলনটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভুইয়ার বাড়িতে হয়। আমাদের সদর থানা বিএনপি এবং যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমাকে সভাপতি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারিকে সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়। হঠাৎ করে তারা অদৃশ্য কারণে ৫ মিনিটের সময় চেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে অন্যত্র যান। ফিরে এসে তারা দ্বিতীয় দফায় যে কমিটি ঘোষণা করেন, তাতে আমাকে সেক্রেটারি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারিকে সভাপতি করা হয়। এই ঘোষণার পর উপস্থিত নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে করা এই কমিটি মানিনা বলে প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে সেখানে হট্টগোল বেঁধে যায়।’

আরও পড়ুন…  বিতর্কিত সদর উপজেলা এবং মেয়াদউত্তীর্ণ চাঁদপুর জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত দাবি

তিনি আরও জানান, ‘ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভুইয়া নিজে আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে। আমাদের ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হয়ে কি করে যুবদলের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলে। তারা টাকার বিনিময়ে ৫ মিনিটের মধ্যে কমিটি পাল্টে দিয়েছে। আমরা এই কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিস্কারের দাবী করছি।’

এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও নব-ঘোষিত সভাপতি নুরু ইসলাম পাটোয়ারি বলেন, ‘আমি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। আমাদের আহ্বায়ক দাদন খানকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। আজকে সাংগঠনিক নিয়মে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে সভাপতি এবং সদস্য সচিব নূর মোহাম্মাদ বেপারীকে সাধারণ সস্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু নূর মোহাম্মাদ বেপারী হট্টগোল করে। তার নেতৃত্বে যে বিশৃঙ্খলা করা হয় তাতে আমরা বিব্রত। আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি সাংগঠনিবভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৮ এপ্রিল ২০২৩