করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লগডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় ব্যবসায়ী, হোটেল-রেস্তরা, মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
সভার শুরুতেই সরকার নির্দেশিত নীতিমালা, সিদ্ধান্ত, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য সহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সরকার জনগণের কথা চিন্তা করেই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। মানুষের জীবন বাঁচলেই জীবিকা বাঁচবে। বর্তমানে করোনার ভয়াবহ সময় আমরা পার করছি। কঠিন সংকটের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেছি। মানবিক বিপর্যয়ের আর বাকি নেই। আমরা ঘরে ঘরে লাশ দেখতে চাই না। তাই এই বিপর্যয় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি যে নিষেধাজ্ঞা বা নির্দেশনা রয়েছে সেসব মেনে চলতে হবে। এ দূর্যোগে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। চাঁদপুর বাসীর কল্যানের জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এই মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসক সভায় বিভিন্ন মালিক সমিতিে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এক সপ্তাহের এই লকডাউনে হোটেল-রেস্তোরা গুলোর যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে। কেউ হোটেলে বসে খেতে পারবে না। খাবার কেবলমাত্র খাবার পার্সেল বিক্রি করতে পারবেন। লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরী সেবা এবং পণ্যবাহী পরিবহন ব্যতিত অন্য কোন গণপরিবহন রাস্তায় বের হতে পারবে না। যদি বের হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের দেশের শান্তি শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করতে হবে। সবাইকে সাবধান এবং নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদে নামাজ আদায়ে যে নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছে তা পালন করতে হবে। ২০জনের বেশি মুসল্লি মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না। এই সময়টাতে আপনাদের ধৈর্যধারণ এবং সহনশীল হতে হবে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি।
পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের কল্যানের সরকার যেএসল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তা আমাদের মানতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের সচেতন হতে হবে। আগে নিজে সচেতন হতে হবে পরে অন্যকে সচেতন করতে হবে। খোলা মাঠে কাচা বাজার বসতে। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করা যাবে না। মসজিদে ২০জনের বেশি মুসল্লি হতে পারবে না। ২০ জনের বেশি হলে আমাদের তথ্য দিবেন, আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহাসহ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতি, শ্রমিক পরিবহন সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রতিবেদকঃআশিক বিন রহিম,১৩ এপ্রিল ২০২১