চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই গোটা জনিত রোগের জন্য কালু গাজী (৬৫) নামের এক রোগীর হাতের আঙ্গুল কর্তনের ঘটনায় ৩ মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্টকে শোকজ করা হয়েছে। এতে এমন ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার চাঁদপুর টাইমসসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
সোমবার সকালে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজিমসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সম্বনয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির ৫ সদস্য হলেন, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের এডিশনাল ডিরেক্টর ম. আলম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম, ডাঃ মনিরুল ইসলাম ও ডাঃ হাসানুর রহমান।
এই ৫ জনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িত মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট মাহাবুব, কুদ্দুস ও সুমনকে শোকজ করে বর্তমানে হাসপাতালে তাদের কর্মকান্ড স্থগিত করা হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোঃ সফিউল আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৩ জনকে শোকজ করে তাদের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকিটা তদন্তের কমিটির রিপোর্টের পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চর বাকিলা গ্রামের মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে কালু গাজী তার বাম হাতের আঙ্গুলে গোটা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ রফিকুল হাসান ফয়সাল তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এক্সরে এবং আঙ্গুলের ওইস্থানে ওয়াশ করার পরামর্শ দেন।
রোগী কালু গাজি জানান, চিকিৎসকের কথা মতো তিনি হাসপাতালের ২য় তলার অপারেশন রুমের সামনে থাকা ওয়াশ রুমে যান। সেখানে দায়িত্বরক মাহাবুব এবং পলাশসহ ৩ জন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট তার হাতের ঘোটার ক্ষতস্থানটি ওয়াশ না করে রোগী এবং চিকিৎসকের কোন প্রকার যোগ জিজ্ঞাসা ছাড়াই কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে তার বাম হাতের মাঝ কানের আঙ্গুল কেটে ফেলে দেন।
এতে রোগীর লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ছবি তুললে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তারা গা ঢাকা দেয়।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি