বাংলাদেশের ইতিহাস ৫০ পেরোলেও মেঘনা পাড়ের ছোট শহর চাঁদপুরের ইতিহাস কয়েকশ’ বছরের। ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর এই জেলায় সাধারণ মানুষের জন্য খাবারে ভিন্নতা নিয়ে মানসম্মত রেস্টুরেন্ট সেভাবে গড়ে উঠেনি তখনো। প্রায় একদশক পূর্বে শহুরে সংস্কৃতি ও দেশি বিদেশি খাবারের স্বাদ নিতে এবং বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ করে দিতে চাঁদপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় রসুইঘর রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই চাঁদপুর বাসীর মনে জায়গা করে নেয় এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪ বছরের মাথায় ভোক্তাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে শহরের প্রানকেন্দ্র টেকনো হান্নান কমপ্লেক্স (সাবেক ছায়াবানি) এর ২য় তলায় জেলার সবচেয়ে বড় স্পেস নিয়ে পথচলা শুরু করে এই রেস্টুরেন্ট কাম পার্টি সেন্টারটি।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর নতুন ভবনে নবউদ্যমে শুরুর দিনটিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ডিসেম্বর শনিবার প্রায় অর্ধশত রিকশা চালকে দুপুরের খাবার খেতে দেয়া হয়। নিম্নআয়ের মানুষদের এ ধরনের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না, নিশ্চয়ই আকাংখা থাকে প্রচুর। সেই চিন্তা থেকেই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছেন বলে জানান। একটু ভিন্নভাবে দুপুরের খাবার খেতে পেয়ে শহরের এই রিক্সাচালকরাও পেয়েছেন এক ভিন্নরকম তৃপ্তি।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জাহিদুল হক মিলন বলেন, ভিন্নধর্মী আয়োজনে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ে মানসম্মত খাবারের আয়োজন করতেই আমাদের অব্যাহত চেষ্টা। চাঁদপুরবাসীর জন্য দেশি, থাই, চাইনিজ, ফাস্টফুডসহ যেকোন ধরনের খাবারের চাহিদা পূরণ করতে আমরা সর্বদাই প্রস্তুত থাকি। খাবারের পাশাপাশি জেলাবাসীর জন্য ইনডোরে সর্ববৃহৎ পরিসরে ২ হাজারের বেশি মানুষের জন্য যেকোন ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের ব্যাবস্থা রয়েছে এখানে। ইনডোরে যেকোন প্রোগ্রাম আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা পেতে চাঁদপুরবাসিকে স্বাগতম।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৪ ডিসেম্বর ২০২১