চাঁদপুর

চাঁদপুরে মৎস্যজীবী, বোট মালিক সমিতি ও জেলেদের মানববন্ধন

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় একমাস কোনাগুল্টি সুতার জাল দিয়ে মাছ ধরার হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলেরা। ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দুই ঘন্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এমরান হোসেন, আলী আহম্মদ মাল, ইব্রাহিম ছৈয়াল, বাশেদ মুন্সি ও কুদ্দুস মিজিসহ অনেক জেলে বলেন, জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রমের পূর্বে ফেব্রুয়ারি এক মাস প্রচলিত ৪.৫ সে. মি. উপর কোনাগুল্টি সুতার জাল দিয়ে ইলিশ মাছ ধরার হয়রানি না করা ও সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ৬.৫ সে. মি সুতার জাল তৈরির সময় প্রদানের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। আমরা কট সুতার তৈরি কোনা-গুল্টি জাল দিয়ে ইরিশ মাছ ধরে পরিবার পবিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তখন সরকারিভাবে জাটকার সাইজ ছিলো ৯ ইঞ্চি। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ইলিশ ধরার সুতার জালের সাইজ ৬.৫ সে. মি. নির্ধারণ করা হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ছোট প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষায় ক্ষতিকর জাল প্রতিরোধে কম্বিং অপারেশনের সময় মৎস্য বিভাগের প্রচারনার সময় ৬.৫ সে. মি. ইলিশ ধরার জালের ফাঁসের সাইজ নির্ধারণে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি তছলিম বেপারী বলেন, ২০২০ সালে ১৪ অক্টোবর তেকে ৪ নভেম্বর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অভয়শ্রম কার্যক্রম চলে। এরপর শুরু হয় শুস্ক মৌসুম। এসময় নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। তখন থেকে অদ্য পর্যন্ত ৪মাস আমাদের জাল নৌকা বন্ধ রয়েছে। আমরা জাল নৌকার মালিক ও জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে ধারনেদা করে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের পক্ষে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এতা অল্প সময়ের মধ্যে প্রচলিত জালগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে ৬.৫ সে. মি জাল বানানো সম্ভব নয়।

নতুন করে জাল তৈরি করতে মার্চ-এপ্রিল মাসের জাটকা রক্ষায় দু’মাসের অভিযানের সময় চলে আসবে। ফলে অভয়াশ্রম পর্যন্ত একটানা ৭মাস আমাদের ইলিশ ধরা বন্ধ থাকতে হবে। আমাদেরকে মার্চের অভয়াশ্রম পূর্বে ফেব্রæয়ারি এক মাস প্রচলিত ৪.৫ সে. মি উপর ফাঁসের সুতার কোনাগুল্টি জাল দিয়ে ইলিশ ধরার সুযোগ দিলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে পারবো।

চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ৬.৫ সে. মি সুতার জাল তৈরির করার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এই মূহুত্বে লাখ লাখ টাকা খরচ করে জাল বানানো সম্ভব না। আমরা পূর্বের ন্যায় ফেব্রুয়ারি এক মাস প্রচলিত ৪.৫ সে. মি. উপর কোনাগুল্টি সুতার জাল দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকরে কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share