চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া ত্রিনদীর মোহনায় স্প্রিডবোট চালকের সাহসিকতায় অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছে মেঘনায় ডুবতে যাওয়া সিমেন্ট বোঝাই জাহাজের ৩ আরোহী।
২৯ আগস্ট শনিবার দপুর ১টায় এই ঘটনা ঘটে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া তিন আরোহী হলেন,জাহাজের সুকানি খায়রুল ইসলাম, মোঃ সোহাগ ও তানজিল হাসান। সাহসী স্প্রিডবোর্ড চালকের নাম বিল্লাল হোসেন। সে মেঘনা নদীতে ভাড়ায় স্প্রিডবোট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,মুন্সিগঞ্জ থেকে শাহ সিমেন্টের ৫ হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে এমভি আয়শা পরিবহন নামের একটি ট্রলার চাঁদপুরের ত্রিনদীর মোহনায় আসলে প্রবল ঘূর্ণি স্রোতে জাহাজটি ডুবতে বসে। প্রবল স্রোতের তোড়ে নড়তে থাকা জাহাজে থাকা সুকানিসহে আরো ২জন আরোহী নদীতে পড়ড়ে যায়। তখন দীর্ঘ সময় চালকবিহীন অবস্থায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারটি নদীতে ডুবতে থাকে। তবে শেষ মুহূর্তে জাহাজটি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলেও নদীতে পড়ে যাওয়া তিন আরোহী থাকে জীবনমৃত্যুর সন্নিকটে।
এদিকে তাদের উদ্ধারের তাৎক্ষনিক এগিয়ে অাসে মোহনায় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা বেশ কয়েকটি স্প্রিডবোট চালকরা। কয়েক মিনিট বেশ কয়েকটি স্প্রিটবোট চালক ওই তিন আরোহীকে খুঁজতে থাকেন।
স্প্রিড বোট চালক বিল্লাল হোসেন মোল্লা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে খায়রুল ইসলাম, মোঃ সোহাগ ও তানজিল হাসানকে উদ্ধার করে।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া সুকানী খায়রুল জানান, ৫ হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে রওনা হই। মালগুলো চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ব্যাবসায়ী সোহাগ মুন্সীর। চাঁদপুরে মোহনায় ট্রলারটি আসার পর প্রবল স্রোতের কারনে কাত হয়ে যায়, আমিসহ জাহাজে থাকা আরো দুই স্টাফ পানিতে পরে যাই। স্প্রিড বোট চালক বিল্লাল আমাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর জানতে পারি বেশ কয়েকটি স্প্রিড বোর্ড ও বেদেদের নৌকা আমাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে আমরা নদীতে পরে যাওয়ার পর জাহাজটি চালকবিহীন মোহনায় ভাসতে থাকে। আল্লাহর রহমতে আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,২৯ আগস্ট ২০২০