চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬ কোটি টাকা ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জেলার সব উপজেলায় ৯শ ৯০ টি অনিষ্পন্ন সার্টিফিকেট মামলার বিপরীতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ১১ হাজার টাকা রয়েছে।
জেলা কৃষি কমিটির ২নং সভায় ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্থাপিত কৃষিঋণ বিতরণ, আদায় ও অন্যান্য তথ্য সংক্রান্ত বিবরণী পত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলার সকল সোনালী, জনতা, অগ্রণী, কৃষি,কর্মসংস্থান, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে ওই টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি হিসেবে পড়ে রয়েছে ।
সংশিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্র মতে, সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২০ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা, জনতা ব্যাংকের ১৫ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৮ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২১ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ।
এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, রূপালী ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৯ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা ।
এদিকে জেলার ওইসব ব্যাংকগুলোতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ৩৭১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ।
চাঁদপুরের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ সম্পর্কে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার বলেন,‘ ব্যাংকের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো গ্রাহক ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ না করলে তখন ব্যাংক কর্মকর্তাগণ গ্রাহকের সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ, চিটি চালাচালি, নোটিশ প্রেরণ করে থাকে। তারপরও যদি ঔ গ্রাহক কোনো প্রকার টাকা প্রদানের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহন না করেন তখনই ব্যাংক বাধ্য হয়ে অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর গ্রাহক তখনই ঋণ খেলাপির অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান । তবে ব্যাংক পারত পক্ষে অর্থঋণ আদালতে যেতে চায় না।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
এপ্রিল ১৮, ২০১৯