চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৮ কোটি টাকা ২৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। জেলার সকল সোনালী, জনতা, অগ্রণী, কৃষি, কর্মসংস্থান, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে ওই টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে পড়ে আছে ।
এর মধ্যে ১ হাজার ৫০টি সার্টিফিকেট মামলা রয়েছে । এর বিপরীদে টাকার পরিমাণ হলো ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্র মতে,সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৬ কোটি ৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ২০ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২২ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার টাকা, জনতা ব্যাংকের ১৫ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, কৃষি ব্যাংকের ২৮ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা ।
এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা , রূপালী ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২০ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা । এ ছাড়াও জেলায় অবস্থিত বেশ ক’টি বেসরকারি ব্যাংকে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ।
চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোজাদ্দেুর রহমান বলেন, ‘খেলাপী ঋণ আর্দায়ের টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীর নির্দেশে ব্যাংক কর্মকতাগণ ঋণ আদায়ে অবিরাম কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণ গ্রহীতার সাথে ব্যাক্তিগত সকল প্রকার যোগাযোগ করার পর কোনো উন্নতি না হলে চিঠি প্রদান ও নির্ধারিত সময় অতিক্রম হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা ঋজু করার নিয়ম রয়েছে ।’
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূখ্য আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক মো.আলী আজগর বলেন,‘ব্যাক্তিগত যোগাযোগের পর ৩টি নোটিশ দেয়া হয় ও পরবর্তীতে অর্থঋণ আদালতে মামলা দেয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর শেষ পর্যন্ত ব্যাংক মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়।
অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গীতা রাণী মজুমদার এক প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ কৃষিঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কৃষকদের বিরুদ্ধে সাধারণত: সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সার্টিফিকেট মামলা দেন। ব্যাংক দেয় না। খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ব্যাংক পারত পক্ষে অর্থঋণ আদালতে মামলা দিতে চায় না। তবে সরকারি অর্থ আদায়ের স্বার্থে সকল প্রকার বিধি বিধানের কার্যক্রম চালানোর পর খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে তখনই মামলা দেয়া হয় ।’
চাঁদপুরের জনতা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আলী আহমেদ খান বলেন,‘ খেলাপী ঋণ আদায়ে মাঠ পর্যায়ে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে। ’
ব্যাংকের একজন প্রিন্সিপল অফিসার বলেন ‘একজন ঋণগ্রহীতা যে কোনো কারণেই খেলাপি হওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। ব্যাংকের সরকারি অর্থ আদায়ে আরো কিছু দিন সময় দিয়ে অপেক্ষা করা হয় । এর পর বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করতে হয়। তার আগে বন্ধকি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামেও দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
প্রতিবেদক:আবদুল গনি
৬ ডিসেম্বর , ২০১৮ বৃহস্পতিবার