মেয়াদোত্তীর্ণ ফ্রুটো ও পাওয়ার ড্রিংস্ক বাজারজাত করে প্রাণ কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা জানান অতি পরিচিত প্রাণ কোম্পানীর চাঁদপুরের দায়িত্বে থাকা ডিলারের সেলস ম্যানেজাররা প্রায়ই ওই কোম্পানীর মেয়াদোত্তীর্ণ জুস, ডিংস্ক , চানাচুর, ডাল, আচারসহ বিভিন্ন পন্য চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকেন।
মেয়াদোত্তীর্ন ফ্রুটো ও ড্রিংস্ক বাজারজাত করার এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে শহরের কবি নজরুল সড়কস্থ সরকারি হাসপাতালের সামনের কাজী স্টোরে।
ওই দোকানের মালিক ও কর্মচারি জানান গত ১৪ মে শনিবার তারা দোকানে বিক্রির জন্য প্রাণ কোম্পানির ফায়ার ফ্লাই,ফুটেলা ফুটো৫ শ মিলি,ফ্রুটো ১ লিটার এবং পাওয়ার ড্রিংস্কসহ ৪৬ হাজার ৯শ টাকার মালামাল ক্রয় করেন।
কিন্তু এরমধ্যে ২৫ পিচ পাওয়ার ড্রিংস্ক ী প্রায় ১৬/১৭ ফ্রুটোর বোতলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এসব বোতলের গায়ে উৎপাদনের তারিখ লেখা রয়েছে ৮ অক্টোবর ২০১৫ইং ও মেয়াদকালের শেষ তারিখ রয়েছে ৭ এপ্রিল ২০১৬ ইং। বোতলের হিসাব অনুযায়ী যার মেয়াদ ১৩ দিন পূর্বেই শেষ হয়ে গেছে।
ব্যাবসায়ীরা জানান তারা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব পন্যগুলো ফেরত দিতে চাইলে ও সেলস ম্যানরা তা ফেরত নিতে চাননি। এমন কি মেয়াদোত্তীর্ণ ওইসকল পন্য ফেরত নেয়া নিয়ে ব্যাবসায়ী ও সেলস ম্যানদের সাথে বেশ কয়েকবার ঝগড়া ঝাটি ও হয়েছে।
এজন্য তাদেরকে অনেক বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় তাদের অজান্তেই কাস্টমাররা সেগুলোর মেয়াদোত্তীর্ন দেখে তাদের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ জন্য প্রাণ কোম্পানীর এমন প্রতারনায় তাদেরকে অনেক বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
তাই এমন প্রতারণা থেকে বাঁচতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভুগী ব্যাবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের প্রাণ ডিলার কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
কবির হোসেন মিজি