মেঘনা নদীর চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার তেলির মোড় থেকে দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানা এবং পশ্চিমে বরিশাল জেলার হিজলা থানার নৌ-সীমানায় জেলেদের উপর জলদস্যুদের একের পর এক হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে।
এছাড়াও জলস্যুদের হামলায় ইতোমধ্যেই বহু জেলে আহত হয়েছে।জলদস্যুদের এই হামলা ও ডাকাতি থেকে পরিত্রান পেতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হইমচরের অসহায় সাধারণ জেলেরা।
২৩ আগস্ট রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জেলেরা একত্রিত হয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহজেদুর রহমান খানের বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। একইসাথে স্মারকলিপির অনুলিপিগুলো চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ সুপার, কোস্টগার্ডের কমান্ডিং অফিসার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হাইমচর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও হাইমচর উপজেলা কোস্টগার্ড অফিসার বরাবর প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,আমরাসহ হাইমচর উপজেলার শত শত জেলে এই এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। মৎস্য আহরণ করে গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় জলদস্যুদের ২০/২৫ টি গ্রুপ মেঘনা নদীর বিভিন্নস্থানে ২ ইঞ্জিনবিশিষ্ট অধিক গতিসম্পন্ন ট্রলারে করে সাধারণ জেলেদের উপর আক্রমণ করে থাকে। তারা জেলেদের কাছ থেকে, মাছ, টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোর এমনকি জাল-নৌকাও নিয়ে যায়।
এই জলদস্যুদের সম্পর্কে এখানকার ২ ইঞ্জিল বিশিষ্ট ট্রলারগুলো মালিকরা অবগত আছে এবং তাদের সাথে কারো কারো যোগসাযোগও রয়েছে। এদের কারও কারও আবার উপজেলার চরভৈরবী এলাকার বাবুরচর সহ বিভিন্ন চরে মাছের আড়ত রয়েছে। তারা নিজেদের আড়তে মাছ বিক্রি করতে জেলেদের চাপ প্রয়োগ করে। জেলেরা যদি তাদের কাছে মাছ বিক্রি না করে তবে, উল্লেখিত জলদস্যুদের দিয়ে তারা ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এইসব ঘটনা আগে কম ঘটলো এখন প্রতিদিনই ঘটছে।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ডাকাতির বিষয়ে চাঁদপুর হাইমচরের কোস্টগার্ড এবং নীলকমল ফাঁড়ির পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে সাধারন জেলেরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে এই স্মারকলিপি দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরদার, হাইমচর উপজেলা জেলা প্রতিনিধি মোক্তার আহমেদ দর্জি, জেলে ও নৌকা মালিক বাদশা মিয়া, তাফাজ্জল হোসেন, খোকন বিশ্বাস, সোবাহান হাওলাদার, বাবুল পেদা প্রমুখ।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,২৩ আগস্ট ২০২০