চাঁদপুরে ওয়েন ইলেভেনের পর থেকেই চোরাকারবার বন্ধ ছিলো। বেশ ক’বছর পর আবার চাঁদপুর জেলায় চোরাকারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নদীতে ওই চোরাকারবারীরা জাহাজ থামিয়ে খনিজ সম্পদ ও ভারত থেকে আমদানিকৃত খাদ্য সামগ্রী চুরি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইদানীংও চাঁদপুর মেঘনা নদীতে গতসপ্তাহব্যাপী নৌ-পথে চোরাকারবারীরা তাদের ব্যবসা জমজমাটভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর তাদের এ ব্যবসা চালাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শহরের যমুনা রোডের ইউসুফ মিজি, জামতলা রোডের মো. রুহুল আমিন, যমুনাঘাট এলাকার বাচ্চু বেপারীসহ আরো ক’জন রাতের অন্ধকারে পেট্রোল, অকটিন, ডিজেল, ভারতীয় চিনি, জিরা ও গমসহ বিভিন্ন অবৈধ প্রসাধনী নদীর মাঝপথ থেকে জাহাজ থামিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে মেঘনা নদীর পাড়ে এনে হাত বদলে দিচ্ছে পাইকারদের হাতে।
পাইকারী দলের ওই সমস্ত পাইকাররা চোরাই মালামাল আমদানি করে পশ্চিম আলুর বাজার, ডামুড্ডা, মাইঝের চর এলাকা থেকে। এরা লাখ লাখ টাকার মালামাল চোরাই পথে আমদানি করে পুরাণবাজারে অজাল প্রধানিয়া, গালকাটা আলি ও ইউসুফসহ আরো কয়েকজনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
এদের সাথে আরো ক’জন ছোটখাটো চোরাকারবারী সম্পৃক্ত হয়ে অবৈধ ব্যবসা গড়ে তুলে নিজেদের অর্থের অট্টালিকা করেছে।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য পাইকাররা চাঁদপুর জেলা থেকে শরীয়তপুরের এলাকায় কিছু চোরাকারবারির কাছ থেকে অগ্রীম কয়েক লাখ টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাঝ নদীতে চোরাইকৃত সক্রিয় মালামাল পাচার করে দিয়েছে, বিনিময়ে পাচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
এমনিভাবেই চাঁদপুরের চোরাকারবারীদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্রাইম রিপোর্টার|| আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur