আজ বৃহস্পতিবার(১৩ সেপেটম্বর) সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে চাঁদপুরে মেঘনা-ডাকাতিয়া মোহনার টার্মিনালে যাত্রীবাহী রফরফ-২ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট ইঞ্জিন রুম থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় লঞ্চে প্রায় ৫’শতাধিক যাত্রী ছিলো।
এতে আগুন নেভাতে ও আতংকিত যাত্রীরা ছুটাছুটি করতে গিয়ে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডে যাত্রবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন, জেনারেটর, পাওয়ার সেকশন, হাওয়ার মেশিন, ডায়াস মেশিনসহ ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবী করে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চাঁদপুর উত্তর, দক্ষিন ও নৌ-ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট পৌনে ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
রফ রফ লঞ্চের মাষ্টার মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ইঞ্জিনটি চালু করার পরপরই বিকট শব্দ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে মারাত্মক দূর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষনিক যাত্রীদের টার্মিনালে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর লঞ্চে থাকা ও আশপাশের লঞ্চের স্টাফ, নৌ-টার্মিনালে থাকা ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নির্বাপনের চেষ্টা চালায়। ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন।’
মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজের কোম্পানীর ম্যানেজার মো.ফরিদ আহম্মেদ জানান, ‘অগ্নিকান্ডে আমাদের লঞ্চের ইঞ্জিন, কেবিন ও আসবাবপত্র সহ প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. এনায়েত উল্লাহ, বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক রতন কুমার বলেন, ‘আমাদের ৩টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তদন্ত শেষে জানানো হবে।’
ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে ওঠা যাত্রী শিমুল চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘৯টা ২৮ মিনিটের দিকে ৫০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ছাড়ার পরই ইঞ্জিন রুমের পাশে তেলের ড্রামে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।’
পরে লঞ্চের যাত্রীরা ঈগল-৭ এ নিজস্ব গন্তেব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
প্রতিবেদক: মাজহাররুল ইসলাম অনিক ও কবির হোসেন মিজি