চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। যে কোনো সময় পানি ঢুকে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল।
এরই মধ্যে মেঘনা নদীর পশ্চিম দিকের চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ি পানিতে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘনার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৪.১৫ সেন্টিমিটার। বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৪.১৫ সেন্টিমিটার। আর সর্বনিম্ন উচ্চতা ছিল ২.৯৮ সেন্টিমিটার। বর্তমানে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ বেড়েছে।
হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান জানান, ইউনিয়নের ইশানবালা এলাকায় মেঘনার পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকায় বসতঘর ও স্কুলে পানি উঠেছে। গত ১১ আগস্ট থেকে পানি বাড়তে শুরু করে, ১৪ আগস্ট সকাল পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল।
একই উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মহসিন মিয়া বলেন, মেঘনার পানি সকালে ও রাতে জোয়ারে বেশি বাড়ে। এখনো লোকালয়ে পানি ঢোকেনি। পানি বাড়লে যে কোনো সময় বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হতে পারে। বিশেষ করে মাছচাষিরা ঝুঁকিতে আছেন।
সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মনসুর খান বলেন, পানি বাড়ায় উচুঁ রাস্তায় পানি না উঠলেও বাড়িতে যাওয়ার সরু রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে জোয়ারের সময় হাঁটু সমান পানি হয়।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মেঘনায় সর্বশেষ পানির উচ্চতা মাপা হয় ৪.১৫ সেন্টিমিটার। সকাল থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতাসের তীব্রতা কমলে তখন পানি বিপৎসীমার নিচে নামবে।
তিনি বলেন, মেঘনার উপকূলে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পর থেকে সদর ও হাইমচর উপজেলার প্রায় ২২ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। পানি বাড়লেও এসব এলাকায় এখনো কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আমরা সতর্ক আছি।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ১৪ আগস্ট ২০২২