চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নিকটবর্তী কাচীকাটারচর এলাকায় ঘনকুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পারাবাত-১৫ এর সাথে বাল্কহেডের সংঘর্ষে লঞ্চটির তলা ফেটে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত অনুমান ১২টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনপুর এলাকায় ঢাকা-মাদারীপুর রুটের এই লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
যাত্রীরা রাতে লঞ্চের তলদেশ ফেটে গেছে এ খবরে শুনে ভিতরে ছুটা-ছুটি করতে গিয়ে কমপক্ষে ২৫/৩০ যাত্রী কমবেশী আহত হয়েছে বলে লঞ্চের মাস্টার হারিছ উদ্দিন জানান। অনেকে জীবন বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। তবে কেহ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা’এ রিপোট লেখাপর্যন্ত যানা যায়নি।
কয়েকজন যাত্রী জানান,যারা ভয়ে নদীতে লাফিয়ে পরেছে তাতের মধ্যে নিখোঁজ থাকতে পারে। এতে করে লঞ্চের ভিতরে প্রানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৫শ’ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মেঘনার চরে আটকা পড়েছে। যাত্রীদের সীমাহীন দুভোর্গের পর প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর জোয়ারে সময় শুক্রবার বিকেল ৬টায় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় অন্য লঞ্চের সাহায্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পারাবাত-১৫কে টেনে নদীতে নামিয়ে উদ্বার করা সম্ভব হয়েছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ,মোহনপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও কোস্টগার্ড রাতে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়। এ ঘটনায় শীতে, বিশুদ্ধ পানির ও খাদ্যের অভাবে মহিলা-শিশুরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে বলে যাত্রীরা জানান। তবে এ ঘটনায় আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশ জানায়,ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারীপুর গামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পারাবাত-১৫ ঘটনাস্থলে আসলে ঘনকুয়াশার কারণে বাল্কহেডের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চটির তলায় ছিদ্র হলে পানি প্রবেশ করে এবং যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি কাচীকাটার চরে ভিড়িয়ে দেয় লঞ্চের মাস্টার।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম ভুঁইয়া পিপিএম জানান, লঞ্চে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের জন্য যায় এবং নৌ-পুলিশ,মহনপুর নৗ পুলিশ ফাঁড়ির,ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আবু তাহের চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রায় ৫শ’ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকা থেকে সন্ধ্যায় মাদারীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনার চরে লঞ্চটি তলাফেটে যাওয়ায় আটকে যায়।
এদিকে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় ঘনকুয়াশার কারনে প্রায় অর্ধশত যাত্রীবাহী লঞ্চ ও বিভিন্ন নৌ-যান মেঘনা ও পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। প্রতিটি লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের ৭/৮ ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে পৌঁছে।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
২১ ডিসেম্বর, ২০১৮