চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা বেকারিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে রুটি, কেক, বিস্কেট, সেমাইসহ বিভিন্ন শুকনো খাদ্যপন্য। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশের নেই কোনো বিএসটিআই কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সনদপত্র। তাছাড়া কারখানাগুলোতে খাদ্যপন্য প্রস্তুতে নূন্যকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ সোমবার রাতে চাঁদপুরের প্রধান ব্যবসায়ীক এলাকা শহরের পুরানবাজারে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত অভিযান চালায়।
এসময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরি এবং বিস্কুট প্রস্তুতে বিএসটিআইয়ের নিয়ম না মানায় কারখানাটির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ বিস্কুট, ১০/১৫ জুড়ি লাচ্ছা সেমাই জব্দ করে তা নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
ভাম্রমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক শাহেদুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
চাঁদপুর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন বলেন, খাদ্যে ভেজাল ঠেকাতে আইন করা হয়েছে। বিচারের জন্য আদালত রয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’। প্রধানমন্ত্রী বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষে খাদ্য ভেজালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমরা চাঁদপুরে তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক শাহেদুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চাঁদপুর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত এবং বিএসটিআই চাঁদপুর-কুমিল্লা অফিসের সমন্বয়ে মিম বেকারি ও লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বিএসটিআই এর গুণগত মানসনদ না থাকা এবং নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য আইন ৩২ ও ৩৫ ধারার অপরাধে আমরা নিয়মিত মামলা দায়ের করেছি। উৎপাদিত বিস্কুট ও সেমাই ধ্বংস করা হয়েছে।
আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৩০ মার্চ ২০২১