কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ভোগ্যপণ্যের বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম ততই বেসামাল হয়ে উঠছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, জিরার দাম কেজিতে ১০ এবং এলাচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
কোরবানির ঈদে সাধারণত মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। বাজারে চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে মসলা ব্যবসায়ীরা এসবের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। দাম বৃদ্ধির কথা খুচরা ব্যবসায়ীরা জানালেও পাইকারি দোকানিরা অস্বীকার করেছেন।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের মাত্র ৩ দিন বাকি, ইতিমধ্যেই শহরের বাজারগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। আর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। বিপণীবাগ বাজারে প্রতিকেজি দেশি আদা ১শ’৫০ টাকায়, ইন্দোনেশিয়ার আদা ১শ’২০ টাকায়, চায়না আদা ১শ’ টাকায় এবং দেশি রসুন ১৮০ টাকায় ও আমদানি করা রসুন ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আদার দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে বলে জানান কয়েকজন দোকানি।
বাজারে আসা ঠিকাদার মো. ইসমাইল হোসেন গাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বর্তমান প্রেক্ষিতে বাজার সম্পর্কে ভালো-খারাপ কোনো কিছুই বলার মতো না। কারণ এক দোকানের সঙ্গে অন্য দোকানের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা যে যার মতো করে দাম রাখছে।’
বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘রমজান মাসে দাম কিছুটা সহনশীল ছিলো। হঠাৎ করে আদা ও রসুন এলাচিসহ কিছু মসলার দাম একটু বেড়ে গেছে। আদা পচনশীল হওয়ায় বেশি করে গুদামজাত করা যায় না। তাছাড়া আদা এখন সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। বেশি দিন মজুত থাকলে পচন ধরে। তাই দাম একটু বেড়েছে।’
এদিকে বাজারে এক দোকানের মসলা দাম সম্পর্কে জানা যায়, দোকানে প্রতিকেজি জিরা ৩শ’ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা, এলাচ ১২শ’ টাকা থেকে ১৩শ’ টাকা, লবঙ্গ ১২শ’ টাকা থেকে ১৪শ’ টাকা, কালো গোল মরিচ ৯শ’ ৫০ টাকা থেকে ১২শ টাকা, দারুচিনি ৩শ’৬০ টাকা, জিরা ৩শ’৬০টাকা, রসুন ১শ৬০ থেকে ১শ ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ২২ থেকে ৩০ টাকা, তেলা ৮০ থেকে ৯৫ টাকা, গুড়ো মরিচ ২শ’ ২০ থেকে ১৪০ টাকা, হদুল খোলা ১শ’ ৫০ টাকা, প্যাকেট ২শ’টাকা, ঘি ৬শ’ থেকে ৯শ টাকা, তেসপাতা ২শ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, ‘রোজার ঈদের পর থেকেই প্রায় সব ধরনের মসলার দামই কিছুটা বেড়েছে।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:১০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ