চাঁদপুরে জনগণের নিরাপত্তাসহ মন্দির-গির্জা পাহারা দিতে হবে: শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে হবে, এবং সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির-গির্জা পাহারা দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোন দুস্কৃতকারী যেনো অঘটন ঘটিয়ে আমাদের বদনাম না করতে পারে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য একথা বলেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের একটি শান্তি মিছিল বের করে পুরানবাজার আসলে দলীয় নেতা কর্মিদের ঢল নামে। এক পর্যায় সাধারণ মানুষ ও সমবেত হয়ে জনস্রোতে রুপ নেয় নিতাইগঞ্জের মাথার মেয়র সড়ক।

তিনি আরো বলেন, বিগত বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের উপরে যেই নির্যাতনের নামে সাধারণ মানুষের উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে, আমরা তাদের মত করবো না, কারন আমরা জনগণের জানমাল রক্ষা সহ মানুষের সেবা করে যাবো, আজ আমাদের দেশটা স্বাধীন হয়েছে, ৭১ ঘাতকের হাত থেকে বাঙালি জাতি দেশটাকে যেমনি স্বাধীন করেছে, ঠিক তেমনি করে ২৪ সালে সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার কে পতন করেছে দেশের শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ, যার কারনে দেশ ছেরে পালিয়েছে। তাই এই দেশ ও দেশের মানুষের রক্ষার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। এখন থেকে সকল নেতাকর্মীরা সেনাবাহিনীর সাথে মাঠে থেকে আইনী কাজে সহযোগিতা করবেন, পাশাপাশি সকল পুলিশের সাথে ভালো আচরণ করে তাদের কাজেও সহযোগীতা করার আহবান করেন তিনি। পরিশেষে তিনি বলেন কেউ কোন উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর কিনবা হামলা করবেন না, যদি আমার নির্দেশ অমান্য করে কেউ এহেন কর্মকান্ড করেন তাহলে দলের পক্ষ হতে কোন সহযোগিতা পাবেন না, তাই সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতেও সহযোগিতা করার আহবান করেন, অবশেষে লক্ষ রাখবেন বিগত বছরে যারা আওয়ামী লীগের সাথে থেকে নৈরাজ্য করেছে আজ তারা ফায়দা লুটতে আপনাদের সাথে থেকে নানাহ অপকর্ম করবে। বিশেষ করে কিশোর গ্যাং নামে উঠতি বয়সি ছেলেরা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত বছরের অত্যাচার আর নির্যাতন আমরা ভুলি নাই, আজ জনগণ চেয়েছে বলে হাসিনা পলাইছে, অথচ হাসিনা সব সময় বলেছে আমি পালাবো না, জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকবো আজ হাসিনা জনগণকে একা রেখে পলাইছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা আঃ হামিদ মাস্টার বলেন, বাংলার মাটিতে অত্যাচারির ঠাই নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বানিয়ে তাদেরকে সকল সুবিধা দিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, আমি বলবো ওইসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মুল্যায়ন করা হউক। এছারাও আরো বক্তব্য রাখেন, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, আক্তার হোসেন মাঝি, সাবেক ছাএদলের সভাপতি শাহজালাল মিশন, সলেমান ঢালি, সাবেক পৌর কমিশনার ফরিদ আহামেদ বেপারি, শাজালাল বেপারিসহ আরো অনেকে।

শান্তি মিছিলে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনিছ বেপারি, আসলাম তালুকদার, শাহিন বেপারি, জাহাঙ্গীর, ইয়াসিন,জুয়েল,শাহ আলম আলমগীর সহ পুরানবাজার ১ থেকে ৪ নং ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মী।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৬ আগস্ট ২০২৪ 

Share