Saturday, April 04, 2015 09:05:11 PM
বিশেষ প্রতিনিধি :
‘আপনারা (সাংবাদিকেরা) পাকিস্তানি বিশ্বাসী মানুষ, আপনারা উন্নয়ন দেখেন না, আপনারা তো অনেক পড়ালেখা করেছেন তাহলে ইতিহাস কেনো জানেন না। ২০৭১ (যদিও বক্তব্যটি হবে ১৯৭১) থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ইতিহাস আমি দেখেছি।’
জাতীয় সম্পদ জাটকা ইলিশ রক্ষায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক চাঁদপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ইলশেপাড়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের পরিচয় প্রদানপূর্বক প্রস্তাবনায় এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে উপস্থিত অধিকাংশ সাংবাদিক নাখোশ হন। এর আগে ‘প্রথম আলো’র চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি প্রশ্ন ও প্রস্তাবনা রাখতে গেলে তিনি প্রথম আলোর সম্পাদকের নাম উচ্চারণ করে পত্রিকাটির শিরোনাম সংক্রান্ত সংবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিগণ প্রশ্ন ও প্রস্তাবনার জবাবে মন্ত্রী জবাবের বিপরীতে ঠাট্টা করেন। পরে ধারাবাহিকভাবে মন্ত্রী সকল সাংবাদিকের প্রশ্ন ভালোভাবে না শুনে ধমকের স্বরে জবাব প্রদান করায় একপর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিকদের ক’জন মন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে হট্টোগোল সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ সুপার আমির জাফর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দরজার সামনে এসে বের হয়ে না যেতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
এ সময় প্রেসক্লাব সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার হস্তক্ষেপে পরিবেশ অনেকটা শান্ত হলে তারা এরূপ অনাকাংখিত ঘটনার জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
এ সময় মন্ত্রী বারবার বলতে থাকেন, আমি সাংবাদিকদের সাথে কী খারাপ আচরণ করেছি, তা একটু প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবেচনা করবেন।
সাংবাদিকদের শান্ত রাখতে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী সাংবাদিকদের পক্ষ হয়ে ঘটনার কারণ ও ভুল বুঝাবুঝির বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন ‘মন্ত্রী মহোদয় বয়স্ক মানুষ, তার কথাগুলো কঠোর শোনা গেছে, তিনি হয়তোবা আমাদের সাথে রসিকতা করেছেন, তাই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তবে চাঁদপুরে সাংবাদিকগণ খুবই শান্তিপ্রিয়, সাংবাদিকতার ইতিহাসে চাঁদপুরে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ড. শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/দেহো/২০১৫