চাঁদপুর সদরের উত্তরে তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন এর উত্তর প্রান্তে বিটি সড়কের পাশে তরপুরচন্ডী ‘ ইসলামিয়া তাফাজ্জল কাজী হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ‘মনুফা কমপ্লেক্সে’ অত্যাধুনিক ও দৃষ্ঠিনন্দন এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
‘ ইসলামিয়া তাফাজ্জল কাজী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ’ই এর নামকরণ করা হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন কাজী মো.হুমায়ুন কবির ও মরহুম কাজী মাহবুবুর হক। ২০১৮ সালে এর কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২০ এর নভেম্বর। হাফেজ মাও.আবুল কাশেম এর সার্বিক ডিজাইন নির্বাচন,নির্মাণ কাজ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জানান, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮৬ ফুট, প্রস্থ ৩৭ ফুট এবং উচ্চতা ২৯ ফুট এবং দ্বি-তল বিশিষ্ঠ জামে মসজিদ। অত্যাধুনিক রচনাশৈলী ও কারু কার্যের এ মসজিদটির নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬টি শীততপ নিয়ন্ত্রিত এসি ,পাঁচটি অত্যাধুনিক ঝাড়বাতি, ৪৫টি বৈদ্যুতিক ফ্যান ও আধুনিক ওয়াসরুম ও হুজুরা খানা। রয়েছে ২০ জন মুসুল্লী একসাথে ওজু করার ব্যবস্থা। নির্মাণ ব্যয় সম্পর্কিত বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
রুচিসম্মত নিজদের তৈরি ইট-বালুর ব্লক দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাব গঞ্জের ২ বছর যাবৎ ৩৫ জন কারিগ নির্মাণ কাজ করেন। দ্বিতীয় তলায় থাকবে হাফিজিয়া মাদ্রাসা বিভাগ। মূলত: এটির নাম রাখা হয়েছে মাদ্রাসা সংলগ্ন ‘ ইসলামিয়া তাফাজ্জল কাজী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ।’ এ মাদ্রাসার ছাত্রদের সুষ্ঠু , সুন্দর ও সময়মত নামাজ আদায় করার জন্যেই মনুফা কমপ্লেক্স মসজিদটি নির্মাণ করে।
দিল্লীর শাহ মসজিদের অনুকরণে বাহিরের গেইট ,এর ভেতরের ডিজাইন করা হয়েছে তাজমহল সংলগ্ন মসজিদ ও মসজিদে নববী,দুবাইয়ের একটি মসজিদের অনুকরণে ওপরের মিনার। ৭শ লোক একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবে।
তত্ত্বাবধায়নকারী হাফেজ মাও. আবুল কাশেম বলেন,‘ দিল্লির ৩০-৪০টি মসজিদের ডিজাইন নির্বাচন করে এবং দুবাইয়ের একটি মসজিদের ডিজাইনে ভেতরের কারুকাজ করা হয়। মসজিদে নববীর আলোকে চাঁদপুর জেলায় এটি একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে ১৩ নভেম্বর চাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র অ্যাড.মো.জিল্লুর রহমান এর উদ্বোধন করেন।’
তিনি আরো বলেন,‘মদিনার বিভিন্ন মসজিদের আলোকে ও মক্কা শরীফের অত্যাধুনিক দু-চারটি মসজিদের কিয়াদাংশ স্টাইলও এর ভেতর রয়েছে।’ হাফেজ মাও.ওমর ফারুক মাসুদী বর্তমানে খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
আবদুল গনি , ২০ নভেম্বর ২০২০