সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে চাঁদপুর পুরাণবাজার পুরান ফায়ার সার্ভিস মোড় বাকালী পট্টি রোডে ‘ফরেন লিকার শপ’ গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রেখে মদ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাত্র ৯ টা পর্যন্ত মদের কাউন্টার খোলা থাকলেও কাউন্টার মালিক শাহাদাত হোসেন শিকদার বেশী লাভের আশায় গভীর রাত পর্যন্ত মদ সেবীদের কাছে মদ বিক্রি করে।
সোমবার রাত্র ১২ টায় ফরেন লিকার শপে গিয়ে দেখা যায়, মদ সেবীরা মদ ক্রয় করে নিচ্ছে। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কাউন্টার মালিক শাহাদাত হোসেন শিকদার ও তার কর্মচারী সলেমান খান তড়িঘড়ি করে কাউন্টারের প্রধান গেইটি বন্ধ করে দেয়।
এসময় খবর পেয়ে পুরানবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফরেন লিকার শপের দোকানে এসে প্রথমবারের জন্য তাকে সর্তক করে দেন।
অভিযোগ রয়েছে, ফরেন লিকার মদের সাথে পানি মিশ্রিত করে এক বোতলের মদ দুই বোতলে ঢুকিয়ে মাদকসেবীদের চোখে ধুলো দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মদসেবী জসিম, আবুল ও হায়দারসহ বেশ ক’জন জানায়, আমাদের কাউন্টারে কর্মচারী সলেমান খান চাকু ও সিরিজ দিয়ে মদের বোতলের কাক ফুটো করে বোতল থেকে মদ বের করে পানি মিশিয়ে সেগুলো বিক্রি করে। কাউন্টারের মালিক শাহাদাত শিকদারের নির্দেশে কর্মচারী সলেমান অবৈধ পন্থায় পানি মিশ্রিত মদ দেদারছে বিক্রি করছে। এছাড়া কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেলে সলেমান রিফোউজি ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি ঘরে মদ রেখে মদ সেবীদের কাছে এই ভেজাল মদ বিক্রি করে।
বেশ কয়েক বছর যাবত এভাবে ভেজাল মদ বিক্রি করে কর্মচারী সলেমান নামে বেনামে চাঁদপুরের বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি ক্রয় করার খবর মিলেছে। গভীর রাতে ফরেন লিকার শপ থেকে মদ সেবন করে মদ্যপায়ীরা ওই এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় উৎপাত সৃষ্টি করে। যা সাধারণ মানুষের জন্যে খুবই উত্ত্যক্তকর বিষয় বলে তারা জানিয়েছে। এই কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত মদ পান করে মদ্যপায়ীরা সাধারণ মানুষের গায়ে হেলে ঢুলে পড়ে নানারকম মারামারি সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে ফরেন লিকার শপের শাহাদাত শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের প্রয়োজনে গভীর রাতে দোকান খোলা রেখে মদ বিক্রি করতে হচ্ছে। মানুষের অনুরোধে রাত ৯টার পর কাউন্টার খোলা রাখতে হচ্ছে।
||আপডেট: ০৯:৫০ অপরাহ্ন, ১২ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর
] শাওন পাটওয়ারী [/author]